প্রিমিয়ার লিগে দুই অর্ধে দুটি গোল করে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচটা ফসকে গেছে আর্সেনালের। অ্যাস্টন ভিলা দুই গোল শোধ করায় ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ২-২ সমতায় শেষ হয়েছে। অথচ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা প্রত্যাশী ও টেবিলের শীর্ষ দল লিভারপুল নিজেদের জাতটা চিনিয়েছে তাদের ঘণ্টা খানেক আগে। টানা তৃতীয় ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর পথে ছিল আর্নে স্লটের দল। কিন্তু ইনজুরি টাইমে বদলি নামা ডারউইন নুনেজের জোড়া গোলে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রেডরা। দলটির শক্তিমত্তার গভীরতায় তাই ঈর্ষা ফুটে উঠেছে আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতার।
গানাররা পয়েন্ট হারানোয় লিভারপুলের চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে। লিভারপুলের আবার হাতে আছে একটি ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ জয়ের জন্য আর্সেনালের দুটি গোল করেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও কাই হাভার্টজ। পরে ৮ মিনিটে দুটি গোল আদায় করেন অ্যাস্টন ভিলার ইউরি টিয়েলেমান্স ও ওলি ওয়াটকিন্স।
লিভারপুল যদিও ভাগ্য ফেরাতে শেষ দিকে ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা স্ট্রাইকার নুনেজকে নামাতে পেরেছে। ব্রেন্টফোর্ডকে হারাতে সহায়তা করেছেন হার্ভে এলিয়ট ও কার্টিস জোন্সও। কিন্তু চোট জর্জর আর্সেনালের শক্তির গভীরতা সেভাবে ছিল না। মাত্র একটি বদলি নামাতে পেরেছেন। চেলসি থেকে ধারে খেলতে আসা রাহিম স্টার্লিং খেলেছেন শেষের ৮ মিনিট!
ম্যাচের পর অনেক আক্ষেপ নিয়ে এই তুলনার কথা তুলে ধরেন আর্সেনাল কোচ আর্তেতা, ‘শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে অবশ্যই এখানে সুযোগ ছিল। লিভারপুল তাদের সুযোগ নিতে পেরেছে। কারণ তারা বদলি নামিয়েছে, সেই বদলি ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দেখুন দুই গোল করার পরও চিত্র বিপরীত! বিপদটা হলো আমি আমার দলকে জানি,পারফরম্যান্স পড়তে থাকে কারণ শারীরিকভাবে আমরা ছিলাম ক্লান্ত। অথচ ওরা কিন্তু নিজেদের চালিকা শক্তি ঠিকই পেয়েছে। সেজন্য বার বার এগিয়েও গেছে। যা আমরা পরিনি।’