ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম দিবসে আসুন আমরা একটি অস্বস্তিকর সত্যের মুখোমুখি হই: বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সমর্থন মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়ন সক্রিয়ভাবে চালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতাকে উপেক্ষা করে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন গত বছর বাংলাদেশকে ২০২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়। এই অর্থায়ন ইউনুসের মতো একজন বৈশ্বিক খেলোয়াড়কে সোরোস, ক্লিনটন পরিবার ও বাইডেনের তত্বাবধানে ক্ষমতায় বসে ভয়াবহ নিপীড়নমূলক শাসন চালানোর জন্যে সুযোগ করে দেয়।
ইউনুসের শাসন নির্যাতনের একটি দুঃখজনক অধ্যায়;
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে, ইউনুস প্রশাসন বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবাধ সহিংসতা চালাতে দিয়েছে। ভয়াবহ পরিসংখ্যান: সংখ্যালঘুদের উপর ২০১০টি নথিভুক্ত আক্রমণ। ৪৭ টি মন্দির ধ্বংস। ১৫৭ টি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা। ১৭০৫ টি পরিবার বাস্তুচ্যুত। এই বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করার পরিবর্তে ইউনুস ভিন্নমতকে দমন করেছেন। ২০২৪ সালের ২৫শে নভেম্বর, হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে দেশদ্রোহ ও জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তার “অপরাধ” ছিল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ইউনুসের ব্যর্থতাকে তুলে ধরা। চিন্ময় দাসের কারাবাস ইউনুসের শাসনে জনগণের সুরক্ষার চেয়ে সমালোচনাকে দমন করার প্রতি আগ্রহকে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরে। মুহাম্মদ ইউনুস: বৈশ্বিক পুতুল, স্থানীয় স্বৈরাচার জনকল্যাণমুখী স্বচ্ছ পরিচয়ের আড়ালে, ইউনুসের কর্মজীবন আসলে জর্জ সোরোস, ক্লিনটন পরিবার এবং বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনে গড়ে উঠা। তাঁর সম্পর্কগুলি প্রমাণ করে যে তিনি তার জনগণের প্রতি নয়, বরং বৈশ্বিক এজেন্ডার প্রতি অনুগত। জর্জ সোরোসের সাথে সম্পর্ক গ্লোবালিস্ট নেটওয়ার্ক: ইউনুস দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের নিয়মিত সদস্য সোরোসের সংস্পর্শে থেকে নানান সুবিধা লাভ করে এসেছেন। ওপেন সোসাইটি ফান্ডিং: সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন ইউনুসের প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করেছে, যা গরীব পরিবারগুলোকে ঋণের জালে ফেলেছে আর ধনী শ্রেণিকে সমৃদ্ধ করেছে। অভিন্ন মতাদর্শ: ইউনুস ও সোরোস দুজনেই তথাকথিত গ্লোবাল ইক্যুইটি এজেন্ডাকে অগ্রাধিকার দেন, যা কোন দেশের সার্বভৌমত্ব বা জনগণের মর্যাদার উপর এলিট শ্রেণীর কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণকে প্রতিষ্ঠা করে। ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে সংযোগ ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সমর্থন: ক্লিনটন ফাউন্ডেশন, ইউনুসের বিভিন্ন প্রকল্প যেগুলো গ্রামীণ কমিউনিটিতে স্পষ্টত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে সেগুলো উপেক্ষা করে লাগাতার বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করে গেছে। হিলারি ক্লিনটনের সুরক্ষা: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউনুসকে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করেছিলেন। অটুট মিত্র: ইউনুসের পলিসির ফলে সৃষ্ট স্থানীয় জনগণের নানান দুর্ভোগকে উপেক্ষা করে ক্লিনটন পরিবার বরং ইউনুসের আন্তর্জাতিক পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে গেছে। বাইডেন-হ্যারিস: নিপীড়নে সহায়তাকারী হিন্দুরা ক্রমাগত সহিংসতার শিকার হবার পরও বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব থেকেছে। বৈশ্বিক স্বার্থকে নৈতিকতার উপরে স্থান দিয়েছে। এই ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম ডে তে এসবের জবাবদিহিতা প্রয়োজন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নকারী শাসককে অর্থায়ন করে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন আমেরিকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষার করার নীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাদের এই নীরব অংশগ্রহণ আমাদের জাতির বিবেকের জন্যে একটি কলঙ্ক। কেন বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন এমন একটি শাসকগোষ্ঠীকে অর্থায়ন করছে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের জন্য দায়ী? আমেরিকানদের এর জবাবদিহি দাবি করতে হবে। ধর্ম এবং স্বাধীনতা এই বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে আরো ভালো কিছু প্রত্যাশা করে।