২০২০ সালের ১ জুলাই খুলনার ৯টিসহ মোট ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেয় সরকার। কর্মকর্তা-কর্মচারী বাদে এসব কারখানার ৩৩ হাজারের বেশি শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। খুলনার ৯টি পাটকলের জমির পরিমাণ ৫১৬ একর। এর মধ্যে ২৮৮ একর ইজারা দেওয়া হয়েছে বা ইজারা প্রক্রিয়াধীন।
সম্প্রতি খালিশপুরের ক্রিসেন্ট জুট মিলে গিয়ে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে সুনসান নীরবতা। শ্রমিক কলোনির ভবনগুলোর জীর্ণ দশা। ভবনের দেয়ালে গুল্মজাতীয় গাছ জন্মেছে। জনশূন্যতা ছাড়া গাছগাছালিতে ভরা কলোনির কিছুই বদলায়নি।
কারখানার ফটকে দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষী মো. মিরাজ আলী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের ও মিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা নেই। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বড় গ্রুপের কর্মকর্তারা আসেন। আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে আপ্যায়ন করি। কিন্তু ইজারাও হয় না, অন্য কোনো কিছুও হয় না।’