রীতিমতো বিভ্রান্ত তাহসান ভক্তরা। অনেকের প্রশ্ন তিনি আসলে কোথায়? মালদ্বীপে স্ত্রীর সঙ্গে হানিমুনে, নাকি কক্সবাজার পুড়ে ছাই হওয়া রোহিঙ্গা শিবিরে! তাহসানপত্নী রোজার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে যে প্রেমময় ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হলো গতকালও (১৬ জানুয়ারি), সেটি দেখে সবাই মোটামুটি নিশ্চিন্ত; মালদ্বীপে হানিমুনে ভালোই কাটছে তাদের সময়।
কিন্তু একই সময়ে তাহসান খানের দেখা মিলেছে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঘুরে বেড়াতে! বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছ রহস্য।
তবে সেই রহস্য কাটাতে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন তাহসান। লিখেছেন, ‘গতকাল (১৬ জানুয়ারি) আমি কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি। যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত।’ সেখানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এই শিল্পী আরও বলেন, ‘জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ রকম অনুপ্রাণিত হয়েছি। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে তাদের জীবনের পথচলা শুরু করেছে, এতে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।’
জানা গেছে, এরমধ্যেই মালদ্বীপ থেকে হানিমুন পর্ব শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন তাহসান-রোজা। যদিও রোজার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এখনও রয়েছে হানিমুনের ছায়া। প্রতিদিনই তিনি প্রকাশ করছেন সেখানকার মধুময় নানান ছবি ও ভিডিও। ‘জীবনবুননে সুতা আমাদের অসীমগ্রথিত। এ প্রেম সুদৃঢ় স্বর্গমথিত’-এমন একটি ক্যাপশন দিয়ে কয়েকটি স্থিরচিত্র ও একটি ভিডিও ক্লিপ সর্বশেষ পোস্ট করেছেন রোজা। বলা দরকার, ৪ জানুয়ারি সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ের খবর প্রকাশ করেন তাহসান। মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে এই বিয়ে ঘিরে ছিল তুমুল আলোচনা। ৭ জানুয়ারি তারা মালদ্বীপে হানিমুনের উদ্দেশে উড়াল দেন।
রোজার শেষ পোস্ট: