বাংলাদেশের ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ওই বিদ্রোহ চলার সময়ে কারাগারগুলি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল প্রায় ২ হাজার বন্দি। তারা পালিয়ে যায় ৫টি কারাগার থেকে। কারগারের অস্ত্র, গোলা বারুদ থেকে শুরু করে চাল-ডাল পর্যন্ত লুট করা হয়। সেই সময়ে কারারক্ষীদের গুলিতে নিহত হন ১৩জন বন্দি। তাদের বাধা দিতে গিয়ে সংঘর্ষর ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হন ২৮২ জন কারারক্ষী। এখনও প্রায় ৫০০ জন বন্দি পলাতক বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।
বাংলাদেশের কারা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে এই বিদ্রোহের প্রথম ঘটনা ঘটে নরসিংদী কারাগারে। গত ১৯ জুলাই ওই কারাগারে হামলা চালিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। সেখানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেদিনই ওই কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি জঙ্গিসহ পালিয়ে যান ৮২৬ জন বন্দি। তারা আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলিও নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের অনেকেই আবার ফিরে।
এছাড়াও সাতক্ষীরা, শেরপুর ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকেও পালিয়েছিল বন্দিরা। এর মধ্যে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গুলিতে মারা গিয়েছিল ৬জন বন্দি। কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, আন্দোলনের সময় ১৭টি কারাগারের মধ্যে আটটি কারাগার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেই সময়ে বিভিন্ন কারাগার থেকে জঙ্গি এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯৮জন পালিয়ে যায়। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি ছিল ন’জন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০জন বিচারাধীন জঙ্গি পলাতক রয়েছে। কারাগার থেকে লুট হওয়ার ২৭টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। কারা মহাপরিদর্শক জানান, এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলির উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।