বলা হয়ে থাকে, আমাদের সব সুখ ও অসুখের মূল হলো পরিবার। পরিবারে শান্তি থাকলে বাইরের মানসিক চাপগুলো সহজে সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু নানা কারণে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ও দাম্পত্য হয়ে উঠতে পারে জটিল। শৈশবের তিক্ত কোনো অভিজ্ঞতা বা মানসিক আঘাত থেকে এটা হতে পারে, সম্পর্কে সততা ও বিশ্বাসের অভাব থেকে তৈরি হতে পারে এই জটিলতা, আবার যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতার ঘাটতি বা মাদকাসক্তিও হতে পারে সংকটের কারণ।
নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে সংকট নিরসন করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তবে অনেক সময় বাইরের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তেমনই একটি উপায় পরিবার ও যুগল কাউন্সেলিং। এই মানসিক স্বাস্থ্যসেবাটির মাধ্যমে সেবা গ্রহণকারীরা তাঁদের সম্পর্ক ও সম্পর্কের জটিলতাগুলোকে বুঝতে পারেন। এরপর কাউন্সেলরের উপস্থিতিতে বা মধ্যস্থতায় একে অপরকে আন্তরিকভাবে শোনার মধ্য দিয়ে দ্বন্দ্বের জায়গাগুলো শনাক্ত করেন। পরে কাউন্সেলরের সহযোগিতায় দ্বন্দ্বগুলো মিটিয়ে নিতে পারেন।
পারিবারিক কাউন্সেলিংয়ে সাধারণত পরিবারের সব সদস্য যুক্ত থাকেন। থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলর পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে নিয়ে বসেন, প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবেও বসেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা, সমস্যা সমাধান, যোগাযোগের উন্নয়ন, দ্বন্দ্ব নিরসন এবং একে অপরকে বোঝার দক্ষতা বাড়ানোই এ ধরনের কাউন্সেলিংয়ের মূল উদ্দেশ্য।