মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আইনজীবী কাজী শাহ জাহান বলেন, ‘এ বছর ৭৫৫তম বার্ষিক ওরসের আয়োজন করা হয়। ১৫ থেকে ১৭ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই ওরস হওয়ার কথা ছিল। এবার ইত্তেফাকুল ওলামার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওরস বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মাজারে গানবাজনা বন্ধ রাখলেও কোরআন খতম, শিরনি বিতরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকবে।’
ইত্তেফাকুল ওলামা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহমুদুল হক আজিজি বলেন, ‘আল্লাহর অলির মাজার অপবিত্র করে কার্যক্রম করা অন্যায়। অলির মাজারকে কষ্ট দেওয়ায় আমাদের ইমানি দায়িত্ব থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘আলেম-ওলামারা চাচ্ছেন না মাজারে ওরস হোক। এ ছাড়া ময়মনসিংহ শহরে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে প্রশাসনের একটি পর্যবেক্ষণ ছিল, এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ৫ আগস্ট–পরবর্তী পরিস্থিতি যেহেতু স্থিতিশীল নয়, সে কারণে ওরসের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি ঠিক হলে তারা করতে পারবে।’