চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে— যাতে সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাষ্ট্রে অগ্রগতিশীল ও উন্নত সংস্কার কার্যক্রম সময়ের দাবি। যারা এখন আমলাতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে, নির্বাচনে তারাই আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
তিনি বলেন, আমাদের আশাহত হলে চলবে না। সুদিনের আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। প্রত্যেককে নিজেকে নিজের জায়গায় ছাড় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে— এখন লড়াই জ্ঞানের, লড়াই বুদ্ধির।
মান্না বলেন, মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না কেন? অতীত দেখেছেন বলেই তো? সেই অতীতের ছাপ এখনও দেখে বলেই তো ? এমন নয় যে, নতুন কিছুর লক্ষণ দেখা গেছে— যাতে আমি আশাবাদী হতে পারি। যে না, এরা এরকম করবে না, আরও ভালো কিছু করতে পারে। এরকম কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবে ড. ইউনূসকে মানুষ সাপোর্ট করছে, এখনও তার কোনও বিরোধিতা করছে না। তার একটাই কারণ, মানুষ মনে করে এই লোকটা দল করে না, তার কোনও ধান্দা নেই। উনি খুব ভালো দেশ চালাচ্ছে, উনি ভালো অর্থনীতির অগ্রগতি করছেন, মানুষের জীবনকে সুন্দর সহজ করেছেন এরকম কোনও ঘটনা নেই। তারপরেও মানুষ কিন্তু তাকে সমর্থন করছে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আমি মনে করি, সময় এখনও আছে। ড. ইউনূস বলেছেন— আমাদেরকে প্রধান দুই-তিনটা ইস্যুতে এক হতে হবে। সংস্কার, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার এরকম দুই তিনটা ইস্যু… এগুলো হলে আমরা একটা নির্বাচনে যেতে পারি। এবং ডেফিনিটলি চাইলে আমরা এই বছরের মধ্যেও (নির্বাচনে) যাওয়া যায়। আমার মধ্যে কোনও সমস্যা নাই। ছয় মাস বা আগামী বছর হলেও আমার কোনও সমস্যা নাই। ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা পেলাম না বলে যে খুব কষ্ট পাবো এরকম না। আর আমি যে ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা পাবো, তার তো কোনও গ্যারান্টিই নাই। যারা পাবেন তাদের হয়তো মন খারাপ হতে পারে। তাদেরকে বলবো, যদি চেঞ্জটা না হতো তাহলে তো চার বছর থাকতেন এবং কষ্টে থাকতেন। বরঞ্চ ছয় মাস থেকে দেখেন দেশটাকে কতটা পজিটিভ দিকে নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, এবারের অর্জন যত বেশি করতে পারবো সেটা সাসটেইন করবে। আর যেটা করতে পারলেন না সেটা অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
কবি মনির ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, কর্নেল (অব) হাসিনুর রহমান, আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, গণমুক্তি জোটের কো-চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিজবুল্লাহ, গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।