বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
আদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ও ১৫ নভেম্বর সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিন করে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দুই দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে আরও বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারা দেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সারা দেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময়েই গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখন থেকেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম তাদের ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৫ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় রবিবার (১২ জানুয়ারি) তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ালো সরকার।