মেটার নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে জাকারবার্গের ঘোষণার পরপরই ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গুগল ট্রেন্ডসের তথ্যানুসারে, ‘ফেসবুক স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার উপায়’, এই অনুসন্ধান গত দুই দিনে সর্বোচ্চ ১০০ পয়েন্টে পৌঁছেছে। এটি ব্যবহারকারীর আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে বোঝায়। অন্যদিকে ‘ফেসবুক থেকে সব ছবি মুছে ফেলার উপায়’, ‘ফেসবুকের বিকল্প’, ‘ফেসবুক ছাড়ার উপায়’, ‘থ্রেডস অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা’ ও ‘লগইন ছাড়াই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা’—এসব বিষয়েও সার্চ বা তথ্য খোঁজার পরিমাণ পাঁচ হাজার শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত তিন মাসে ফেসবুক মুছে ফেলার বিষয়ে সার্চ স্কোর ৭৫ পয়েন্টে স্থির ছিল। তবে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও মেটার সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের ফলে এটি ১০০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
মেটার কনটেন্ট মডারেশন ও ফ্যাক্টচেকিং ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা ছিল। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বার্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। একইভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্যও মেটাকে দায়ী করা হয়। ২০২১ সালে জাকারবার্গ বলেছিলেন, রাজনীতি ও বিতর্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করুক, এমনটা ব্যবহারকারীরা চান না। এরপর ফিড থেকে রাজনৈতিক কনটেন্ট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এখন সেই নীতি থেকে সরে আসছে মেটা। জাকারবার্গের দাবি, নতুন নীতিমালা বাক্স্বাধীনতার পরিবেশ আরও শক্তিশালী করবে। ফ্যাক্টচেকিংয়ের দায়িত্ব আর তৃতীয় পক্ষের ওপর থাকবে না। এর বদলে টুইটারের ‘কমিউনিটি নোটস’-এর মতো ব্যবহারকারীরা নিজেই পোস্টে প্রাসঙ্গিক তথ্য যোগ করতে পারবেন।