‘প্রথম আলো’ পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ট হতে হবে। অর্থনীতি, নিরাপত্তা, জল-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরকে ছাড়া চলা আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে যাবে। কাজেই সব কিছুতেই দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতে হবে। কেউ কারও উপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে এমন ধারণা যাতে না হয় সেটাও দেখতে হবে।’ দু’দেশেরই একে অপরকে দরকার বলেও দাবি করেন ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘সেই জন্য যা কিছু দরকার, সেটা নিয়ে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।’ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কটাকে মজবুত করার সঙ্গে সার্ক-কে জোরদার করা কথাও বলেছেন ইউনূস। এরই সঙ্গে ইউনূস জানান, বাংলাদেশের সবথেকে বড় সুবিধা ভারত এবং চিনের। এই দুটি দেশের কাছে থেকেই বাংলাদেশ শিখবে এবং দুটি দেশই তাদের বাজার হবে বলেও মনে করেন ইউনূস। দু’দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই তাদের চলতে হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চাইছে বাংলাদেশ বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ইউনূস। চিনের একাধিক শিল্পকে বাংলাদেশে নতুন করে স্থাপন করার জন্যও বলেছেন তিনি। চিন থেকে বিদ্যুৎ আনার কথাও চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ।
ভারতের মধ্যে দিয়ে যাতে সেই ট্রান্সমিশন লাইন আনা যায় সেই ব্যাপারে দিল্লির সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইউনূস। হাইড্রো-ইলেকট্রিসিটি আনা বা সোলার এনার্জির ব্যাপারে চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব হবে না বলেও মনে করেন তিনি। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন ইউনূস।