সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘সরকারকে অনুরোধ জানাবো, (নির্বাচনে) দেরি করবেন না। দেরি করলেই অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র পিছে লেগে আছে। অনতিবিলম্বে তফসিল ঘোষণা করুন।’
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘ফেলানী হত্যা দিবসে’ আগ্রাসন বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘অবিলম্বে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। সংস্কারও চলবে, নির্বাচনের তফসিলও চলবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যে দলই ক্ষমতায় আসুক; আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আন্দোলনকারী সব দল নির্বাচনে অংশ নেবো। যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না, যে নির্বাচন ১৯৯১ সালের সততার মতো আলোচিত হবে।’
এসময় প্রতিবেশী দেশ ভারত সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করুন। আপনারা যে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, সেটা প্রমাণ করুন।’
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ‘শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র রয়েছে’ অভিযোগ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘তারা বাংলাদেশে বসে বসে শেখ হাসিনার গুণগান গাইছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা আর কখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। তাই আজকে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের সব পদ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তাদের পদচ্যুত করতে হবে।’
সমাবেশে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান। পাশাপাশি ফেলানি হত্যার জন্য ভারতীয় কর্তৃত্ববাদী মনোভাবকে দায়ী করেন।