Homeদেশের গণমাধ্যমেসমাবেশে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি বিপ্লবী পরিষদের

সমাবেশে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি বিপ্লবী পরিষদের


কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে হামলাকারীদের ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার দাবি করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন নবগঠিত দলটির রাজনৈতিক প্রধান আনিসুর রহমান ও সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলা ২টায় জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশের আয়োজন করেছিল। বিকেল ৪টায় সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বক্তৃতা করেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। 

হামলাকারীরা সমাবেশে চেয়ার ভাঙচুর ও ছোড়াছুড়ি করলে জুলাইয়ের অনেক শহীদ পরিবারের নারী সদস্য ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের রক্ষা করতে গিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জুলাইয়ে রাজধানী উত্তরায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানাকারী রাবেয়া আক্তার হামলার শিকার হন।

এদিকে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে ও ফারুককে রক্ষা করতে গেলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম ও এসএম রাফসানযানি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম সাকিব, সলিমউল্লাহ ও হিযবুল্লাহ আহত হয়েছেন। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সমাবেশে  গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান ও বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারিত হয়েছে। এতে হামলাকারীদের সবার চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। 

হামলাকারীদের পরিচয় জানতে বিপ্লবী পরিষদ অনুসন্ধান শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের মধ্যে শরীফ ও হিল্লোল নামে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা রাজধানীর শ্যামলী থেকে সমাবেশস্থলে আসেন বলে জানা গেছে।

শহীদ পরিবারের সদস্য ও নাগরিক সমাবেশের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের থেকে বিধিগতভাবে অনুমতি গ্রহণ করে এবং নিরাপত্তার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু হামলার সময়ে শহীদ মিনারে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সদ্য গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানকে হামলা করে বানচাল করে দেওয়ার পরেও এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বিস্ময়কর বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে ভিডিও দেখে পুলিশ সহজেই হামলাকারী ও আক্রান্তদের পরিচয় ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বের করতে পারবে, সেখানে তিনি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বিরুদ্ধে ভুল বক্তব্য দিয়েছেন। 

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও গণঅধিকার পরিষদ একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ায় উভয় সংগঠন মিলে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সোচ্চার হতে বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত