ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সজিবুর রহমান সজিব। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সভাপতি সজিবকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও কলাবাগান থানার সন্ত্রাস-বিরোধী আইনের মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক কাউসার আহমেদ সারোয়ারকে জেলগেটে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) আসামি সজিবকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন আসামি সজিবের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে হাজারীবাগের জাফরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর ঢাবির মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী মো. আবুসায়াদ বিন মাহিন সরকার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৩৯১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সজিব এই মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ নম্বর আসামি।
অন্যদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হয়ে মিছিল করার অপরাধে কলাবাগান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলায় গ্রেফতার হয় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক কাউসার আহমেদ সরোয়ার। তাকে শনিবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন আসামির রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় আসামিরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হয়ে মিছিল বের করে। এ সময় তারা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে স্লোগান দেয়। এ ঘটনায় সেদিনই কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।