১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র জারির দাবি
গণ–অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনেকে সমাবেশে বক্তব্য দেন। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান চলতে থাকে।
সমাবেশের সমাপনী বক্তা ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে অনেকে মেনে নিতে পারেনি। সে জন্য সচিবালয়, পুলিশ ও বিচার বিভাগে বিভিন্ন সময় আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে। অতীতে ছিল সতীদাহ প্রথা, এখন আমরা দেখছি, নথিদাহ প্রথা। যারা সচিবালয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, আপনাদের বলতে চাই, আপনারা রিয়েলিটি (বাস্তবতা) মাইনা নেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, সিন্ডিকেটের হাত ভেঙে দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। কোনো বিপ্লবীকে যদি আক্রমণ করা হয়, এই সরকারকে তার দায়ভার নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের আর কোনো শত্রু নেই। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো সংঘবদ্ধ থাকতে হবে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকারকে জারি করতে হবে। যারা ফ্যাসিবাদী ও সন্ত্রাসের রাষ্ট্র কায়েম করেছিল, তাদের বিপক্ষে লড়াই জারি থাকবে।
বক্তব্যের শেষ দিকে সবাইকে হাত তুলে লড়াই জারি রাখার শপথ নিতে আহ্বান জানান হাসনাত। সমাবেশে অংশ নেওয়া সবাই হাত তুলে সমর্থন জানানোর পর হাসনাত স্লোগান ধরেন, ‘এই মুহূর্তে দরকার, বিচার আর সংস্কার’। কিছুক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পর হাসনাত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আবার দেখা হবে ১৫ জানুয়ারিতে আমাদের ঘোষণাপত্র নিয়ে।’