শিক্ষা যেহেতু জাতির মেরুদণ্ড, তাই ওই জায়গায় বেশি আঘাত বিগত সরকার দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যহীন, মানহীন একটা শিক্ষাব্যবস্থা দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল, যা বাস্তব জীবনে এই জাতির কম কাজে এসেছে। শিক্ষায় কোনো গবেষণা নেই, চর্চা নেই, উৎকর্ষ নেই, মিল তাই নেই, সবকিছুকে তছনছ করে দেওয়া হয়েছিল।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, আরেকটি যুদ্ধ করার জন্য তোমাদের তৈরি হতে হবে। সে যুদ্ধটি হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সবার আগে মেরামত করার। শিক্ষা যেহেতু জাতির মেরুদণ্ড, এই জায়াগায় তোমাদের শপথ নিতে হবে। আর কোনো চাপাতি কোম্পানিকে ওখানে ঢুকতে দেবে না। কোনো গাঁজাখোরকে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। হাতে অস্ত্র নিয়ে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণরুম যারা কায়েম করে, তাদেরও ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি যারা করবে, তাদেরও স্থান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষা, শিক্ষার চর্চা, গবেষণা থাকবে। জামায়াত আমির বলেন, ‘এই যুদ্ধে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। যেভাবে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, আগামীতেও তোমাদের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার আমরা করছি।’