Homeদেশের গণমাধ্যমেশিশুর ভবিষ্যৎ নির্মাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা

শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা


চট্টগ্রাম: ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’ এ মর্মবাণী আমাদের ধারণ করতে হবে। বর্তমানের ওপর ভর করে শিশুদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি তবে ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখি সেটা স্বপ্ন নয়। জেগে থেকে যে স্বপ্ন আমরা দেখি সেটাই আসল স্বপ্ন।
 

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি আয়োজিত দুদিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উৎসবের প্রথম অধিবেশনে সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমির পরিচালক কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ।  


এমএ মালেক বলেন, শিশুদের মনোজগত যেন আরো বেশি সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে শিশুসাহিত্যিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের শিশুমনস্তত্ত্ব বুঝে শিশুদের জন্য সাহিত্য সৃষ্টি করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শিশুদের আনন্দকে ধারণ করে শিশুদের জন্য ভালো বই রচনা ও প্রকাশ করা জরুরি।


তিনি শিশুদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের লক্ষ্য স্থির করে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। মা-বাবা আর শিক্ষকদের উপদেশ মেনে চলতে হবে। কেননা তারাই এই পৃথিবীতে তোমাদের ভালো চায়।  


অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের কাজটা কী, আমাদের দায়িত্ব কী তা বুঝতে হবে। আমাদের কাজটা যদি ঠিকমতো করতে পারি তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।  


সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশ্শিরা। তিনি বলেন, এই উৎসব শিশুসাহিত্যিকদের উৎসব। শিশুদের চাওয়া-পাওয়া, শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। শিশুদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। তাদের বইমুখী করতে হবে। একই সাথে শিশুদের আনন্দময় শৈশব উপহার দিতে হবে।


এ অধিবেশনে স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন একাডেমির ফেলো শিশুসাহিত্যিক বিপুল বড়ুয়া, দীপক বড়ুয়া, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, অরুণ শীল, জসীম মেহবুব, এয়াকুব সৈয়দ, সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, কেশব জিপসী, আজিজ রাহমান, আবুল কালাম বেলাল, মিজানুর রহমান শামীম ও অমিত বড়ুয়া।


সঞ্চালক ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে উঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আনন্দধারা সাংস্কৃতিক একাডেমির শিশুশিল্পীরা।


দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘শিশু-কিশোরদের সাহিত্যমুখী করতে আমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা শিশুসাহিত্যিক মর্জিনা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়া, অধ্যক্ষ ছন্দা চক্রবর্তী, প্রাবন্ধিক নিজামুল ইসলাম সরফী, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, প্রাবন্ধিক এসএম মোখলেসুর রহমান। সূচনা বক্তব্য দেন গল্পকার রুনা তাসমিনা।


বিকেলে শিশুসাহিত্যিক ও কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ছড়া-কবিতা পাঠে অংশ নেন ছড়াশিল্পীরা। সূচনা বক্তব্য ছড়াকার কাসেম আলী রানা।


সন্ধ্যা ৬টায় ‘আগামীর শিশুসাহিত্য’ বিষয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিপুল বড়ুয়া। আলোচক ছিলেন শিশুসাহিত্যিক জসীম মেহবুব, আজিজ রাহমান, আবুল কালাম বেলাল, মিজানুর রহমান শামীম, কেশব জিপসী, অমিত বড়ুয়া, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী। সূচনা বক্তব্য দেন শিশুসাহিত্যিক ইসমাইল জসীম। সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে ছড়া-কবিতা পাঠে অংশ নেন ছড়াশিল্পীরা। সূচনা বক্তব্য দেন গল্পকার লিপি বড়ুয়া। উৎসব উপলক্ষে ‘শিশুসাহিত্য’ শিরোনামে ৩৯৬ পৃষ্ঠার একটি সমৃদ্ধ সংকলন প্রকাশ করা হয়।  


শনিবার (২৬ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিন প্রফেসর রীতা দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেবেন চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী, প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, জাহাঙ্গীর মিঞা, স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, গল্পকার শিপ্রা দাশ। সূচনা বক্তব্য দেবেন লেখক এসএম আবদুল আজিজ।


সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি সম্মাননা’ দেওয়া হবে। সম্মাননা পাচ্ছেন লেখক মাহমুদউল্লাহ, ছড়াশিল্পী আহমেদ জসিম ও গল্পকার ইফতেখার মারুফ। আলোচক থাকবেন সুজন বড়ুয়া, ওমর কায়সার, এমরান চৌধুরী, অরুণ শীল, রমজান মাহমুদ। সূচনা বক্তব্য দেবেন কবি জসিম উদ্দিন খান।


বাংলাদেশ সময়: ২200 ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৪

এআর/পিডি/টিসি





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত