“ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে রিজভীর উচিত আত্ম-পরীক্ষা করা। জনগণ খুব ভালো করেই জানে কে দলীয় দল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ সফর করেছে এবং ভারতের সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করেছে,” জামাতের একটি বিবৃতি পড়ে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লোগো
“>
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লোগো
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর একটি মন্তব্যের নিন্দা করেছে যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ইসলামপন্থী দল “ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায়”।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানের দেওয়া এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিজভীর বক্তব্য “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর”।
“রিজভীর মন্তব্যে জনসাধারণ বিস্মিত। ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে রিজভীর একটি আত্ম-পরীক্ষা করা উচিত। জনগণ ভালো করেই জানে কে দলীয় দল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ সফর করেছে এবং ভারতের সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করেছে।” বিবৃতি পড়ে।
“জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ভারতীয় আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। জামায়াতের এই ভূমিকা গোটা জাতি মেনে নিয়েছে। এবং সম্ভবত এটিই রিজভীর গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণ। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অপবাদ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। রাজনীতি,” এটা যোগ করেছে।
জামায়াতের বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর আরেকটি মন্তব্যকে সম্বোধন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ এক অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি রাজনৈতিক দলের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা জনগণ দেখেছে। জনগণ দেখেছে কে পায়ের রগ কাটে। [of their opponents]. যার বিরোধিতা করেছে জামায়াত [the Liberation War of 1971] ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে,”” জামাতের বিবৃতি অনুসারে।
মন্তব্যের জবাবে জামায়াত বলেছে, “রিজভী গত কয়েক দশক ধরে এ ধরনের বক্তৃতা দিচ্ছেন। শিরা কাটা, ‘৭১-এর বিরোধিতা, ঘোলা পানিতে মাছ ধরার এসব বক্তব্য জনগণ দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এসব বলে রিজভী কী অর্জন করতে চান? জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা জনগণের কাছে পরিষ্কার নয় জামায়াত কখনো ঘোলা পানিতে মাছ ধরার রাজনীতি করেনি।
জামায়াতের নীতির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আপনি [Jamaat] ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতি করুন। ইসলাম মানে বারবার ভন্ডামি নয়।”
মন্তব্যের কটাক্ষ করে জামায়াতের প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতি করেন না, তারা ইসলামের আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “জামায়াতে ইসলামী কখনো ভণ্ডামি করেনি। জনগণের অধিকার, দেশ, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও ভোটাধিকারের জন্য জামায়াত আপোষহীনভাবে লড়াই করেছে।”