শারদীয় দুর্গাপুজোর নবমীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় পূজা উৎসব পরিষদের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।এর আগে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এমন সমাজ চাই না, যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। এই সরকার এমন বাংলাদেশ গঠন করতে চায়, যেখানে সব সম্প্রদায় এবং নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে।’ সরকারের দায়িত্ব নিয়ে গত অগস্টে আরও একবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে এসেছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সেই বারও সারা দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর বিশেষ গোষ্ঠীর অন্যায়-অত্যাচার ও বাড়িতে হামলা-অগ্নিকাণ্ডের নিন্দা করে তা দমনের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার পরেও বেশ কয়েকটি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এ বারের পুজোও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার রাতেও খোদ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র তাঁতিবাজারে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাতে মারাত্মকভাবে জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চারজন স্বেচ্ছাসেবক।
তাঁতিবাজারে পুজো চলাকালীন ৩ থেকে ৪ জন দুষ্কৃতী মন্দিরে আচমকা পেট্রল বোমার মতো একটি বস্তু ছুড়ে মারে। তবে তা শেষ পর্যন্ত ফাটেনি। দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলাকালীন ঝন্টু (৪৫), সাগর (৩৮), মো. খোকন (৩৫) এবং বৃত্ত (২৬) নামে ৪ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জখমদের স্যার শলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রকের উপদেষ্টা হাসান আরিফ তাঁদের দেখতে গিয়েছিলেন।
এ দিকে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এলাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তাতে মহানবমীতে আগত দর্শনার্থীদের কিছুটা বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়েছিল। গত বুধবার শুরু হওয়া শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ হবে রবিবার বিজয়া দশমীতে ঢাকার সদরঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।