শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলছে। এই সময়েই অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত সংগঠনের কোনও সদস্য বা কর্মী সরকারি চাকরি পাবেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ। তিনি জানিয়েছেন, যে সব নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেখান থেকেও ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীদের’ বাদ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কথা জানান আসিফ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনও সদস্য প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত হতে পারবেন না। যেসব নিয়োগ এখনও প্রক্রিয়াধীন আছে, সেখান থেকেও তাদের বাদ দেওয়া হবে।’ পরবর্তী সার্কুলারে শূন্যপদগুলিতে মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে বলেও জানান আসিফ। এর ফলে বেশি সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানান তিনি। ঘুষ দিয়ে ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ বন্ধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও দাবি করেন আসিফ।
বাংলাদেশের অনেকেরই দাবি, নির্দিষ্ট করে কোনও সংগঠনের নাম উল্লেখ করা না হলেও এর লক্ষ্য ছাত্র লিগের সঙ্গে যুক্তরা। উল্লেখ্য, কোটা প্রথা বন্ধ করে মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে জুলাই মাসে বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। এর জেরেই অগাস্ট মাসে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের।