এর আগে গত ৯ নভেম্বর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছিল নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। ওই সভায় তিনটি নির্বাচনের দায় মোটাদাগে পুলিশের ওপর চাপিয়েছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকালের সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনেকে নির্বাচনের সময় ‘ব্যবহৃত’ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অবশ্য কেউ কেউ গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য অনেকাংশে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়ী করেন। কারণ, নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্বে থাকের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে বিভিন্ন বাহিনীর। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা খুবই কম থাকে।
ওই সব নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তখনকার ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং সব জেলা প্রশাসক। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন মূলত তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিল পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।