একই ইউনিয়নের বাসিন্দা সুজন রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে কিছুই নেই, সব ওরা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দেয়, টাকাপয়সা চায়। আমি এখন কোথাও যেতে পারি না। আমাকে ধরে নিয়ে মারছে, আমি এখন হাঁটতে পারি না। আমার পায়ের গিঁটে টাকাইছে।
জানতে চাইলে সুজন রায় আরও প্রথম আলোকে বলেন, আমি খুলনায় ডাক্তার দেখাইছি, এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি। আমাকে এমাদুল খান, ফোরকান, মাসুম বিল্লাহসহ বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করে।’
তালুকের চরদুয়ানি এলাকার বাসিন্দা অর্জুন হাওলাদারের স্ত্রী মনি রানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার পতনের দিন বিকেলে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করা হয়। সেই থেকে আমার স্বামী বাড়িছাড়া। বিএনপির নেতা এমাদুল খানসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে এসে এক লাখ টাকা দাবি করেন।’
অর্জুন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, টাকা দাবি করেন বিএনপির নেতা হাবিবুর রহমানের বাহিনীর লোক এমদাদুল খানসহ অনেকেই। এমাদুলও বিএনপি করেন। তাঁর বাবা হাবিব চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন।