দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে দুদক। দুর্নীতির ব্যাপকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম কোনও গণঅভ্যুত্থানের পর গণরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে (বায়তুল মোকাররম) মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়ে গেছেন। ছাত্রজনতা সেটি করে দেখিয়েছে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও তথ্য পেলে সাংবাদিকদের জানানো হবে।’
গত ১১ ডিসেম্বর দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে প্রথম গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা। মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুদকের গতি বেড়েছে এটা আপনারাই লিখেছেন। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। সেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও লুকোচুরি করবো না। সময়মতো সব কিছুই সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা থাকেন তাদের ধরা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে। সেই প্রত্যাশা পূরণে দুদক কাজ করে যাবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মোকাবিলা করার সৎসাহস আমাদের আছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ মামলা করার পর সত্য উদঘাটন করে। আর দুদক সত্য উদঘাটনের পর মামলা করে। সে কারণে দুদকের মামলাগুলো যাতে জনপ্রত্যাশার পক্ষে যায়, সেটিই সবাই আশা করি।’
সবশেষে দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের তথ্য তুলে ধরেন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে।
কমিশনের অপর দুই সদস্য সাবেক জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিনসহ দুদক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।