আধুনিক কৃষির নামে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘খাদ্য কেবল খাদ্য নয়, সাধুরা খাদ্যকে শরীর সেবা করা বলে থাকেন। আমরা যদি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাই, তাহলে আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কিন্তু খাবারের যে আধুনিক উৎপাদন শুরু হয়েছে, আধুনিক উৎপাদন ও কৃষির নামে সার-কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে এমনকি আদি বীজ নষ্ট করা হচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে অবস্থিত বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ প্রাঙ্গণে আদিবাসী খাদ্য ও শস্য মেলা ২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। মেলার আয়োজন করে উন্নয়ন সংগঠন নাগরিক উদ্যোগ এবং মহা প্রজ্ঞা এডুকেশন ট্রাস্ট।
খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, পাহাড় ও দেশের অন্য জায়গায় যেসব ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে, তাদের টিকিয়ে রাখতে দেশের নাগরিকদের কাজ করতে হবে। তামাক চাষ এবং রাবার বাগান পাহাড়ি অঞ্চলের জমি নষ্ট করছে উল্লেখ করে তিনি এসবের পরিবর্তে স্থানীয় ফসল ও খাদ্য উৎপাদনের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কাপ্তাই হ্রদে মাছের অভয়ারণ্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছি, যাতে হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছ ফিরিয়ে আনা যায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হারিয়ে যাওয়া মাছ ফিরিয়ে আনা, মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।’
খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং নিরাপদ খাদ্য সরবরাহকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, ‘মেইন স্ট্রিম খাদ্যে এখনো কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি। মাছ ও ডিমের উৎপাদনের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। তবে ফিডের উপাদানগুলো নিরাপদ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
মহা প্রজ্ঞা এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।