জনপ্রিয়তায় ধস নামার সময়টাতেই ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে বেশ কয়েকবার অনাস্থা ভোট আয়োজনের চেষ্টা করেছেন বিরোধী রক্ষণশীলরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় তাঁদের সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
যদি সরকার অনাস্থা ভোটে হেরে যায়, তবে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। আর সে ক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম হবে।
কানাডার পার্লামেন্টের আসন ৩৩৮টি। অনাস্থা ভোটে সরকারকে উতরাতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। আর এ জন্য ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের কাছে বিরোধীরা ১৭টি আসনে পিছিয়ে আছে।
কাজেই অনাস্থা ভোটে ট্রুডোর জোটের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি কিংবা ব্লক কিউবেকুইসের সমর্থন ছাড়া সরকারকে হটানো রক্ষণশীলদের পক্ষে কার্যত সম্ভব না। গতকাল মঙ্গলবার থেকে পার্লামেন্টের অবকাশ শুরু হয়েছে। তাই ট্রুডোর সামনে অন্তত আগামী জানুয়ারির শেষভাগের আগে নতুন করে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি কম।
নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমিৎ সিং গত সোমবার প্রথমবারের মতো ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। এর মধ্য দিয়ে লিবারেল সরকারের টিকে থাকার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। কেননা, দলটির সংসদীয় নেতা বলেছেন, নতুন বছরেও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অনাস্থার পক্ষে ভোট দেবেন দলটির এমপিরা।