Homeদেশের গণমাধ্যমেশিক্ষণ প্রক্রিয়ায় ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের ওপর জোর দেয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি

শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের ওপর জোর দেয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি


দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম পাঠপীঠ সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়টির নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস। জন্মলগ্ন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বতন্ত্র ধারায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যেন দেশেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই ২০০২ সালে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিশনারি ট্রাস্টিবোর্ড শুরু থেকেই আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুমগুলো শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ। আন্তর্জাতিক মানের মাল্টিমিডিয়াসহ ক্লাসরুমগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিব্যবস্থা। ক্লাসরুম ছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহৎ পরিসরে পরীক্ষা ও বিশেষ ক্লাস গ্রহণের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি এক্সাম হল। রয়েছে একটি মাল্টিপারপাস হল যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স, সেমিনারসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করে। এই লাইব্রেরিতে পাঠ্যপুস্তক, রেফারেন্স বই, জার্নাল এবং সংবাদপত্রের বিস্তৃত সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরিটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড এবং ইন্টারনেট সংযুক্ত, যা ‘KOHA’ নামে পরিচিত ইন্টিগ্রেটেড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের দূর থেকে একাডেমিক রিসোর্সে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এছাড়াও লাইব্রেরি একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের অংশ, যা মূল্যবান প্রবন্ধ ডাউনলোডের সুবিধা প্রদান করে এবং IEEE Xplore, Emerald Insight এবং Manupatra লিগ্যাল ডাটাবেসের মতো উল্লেখযোগ্য ই-রিসোর্সের সাবস্ক্রিপশন রয়েছে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি দ্বারা সজ্জিত। এসব ল্যাব শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের সুযোগ প্রদান করে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসির ল্যাবগুলোতে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
কোয়ান্টাম নেক্সাস ল্যাব, রোবোটিক্স ল্যাব, পাওয়ার সিস্টেম অ্যান্ড প্রোটেকশন ল্যাব, নিটি ল্যাব এবং ফার্মাসিউটিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবসহ এসব ল্যাব আধুনিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য সর্বাধুনিক সুবিধা প্রদান করে। শিক্ষার্থী ও গবেষকরা এসব ল্যাবের বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, পাওয়ার সিস্টেম, টেক্সটাইল প্রযুক্তি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও অনুসন্ধানের সুযোগ পেয়ে থাকে।

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে তিনটি অনুষদের অধীনে দশটি বিভাগ রয়েছে যেখানে মোট ১৬টি প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামসমূহ হলো-সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, বিবিএ, বিএ ইন বাংলা, বিএ ইন ইংলিশ, ইকোনমিক্স, এলএলল বি, এবং ফার্মেসি; এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো হলো-এমবিএ, ই-এমবিএ, এলএলএম, এমএ ইন বাংলা, এমএ ইন ইংলিশ, এবং এমডিএস। একাডেমিক প্রোগ্রাম বিভিন্ন অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থা যথা- আইইবি, আইএবি, ফার্মেসি কাউন্সিল, বার কাউন্সিলের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করার পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে চাকরি করছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
দেশবরেণ্য শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান কেমন হবে, এর গ্র্যাজুয়েটরা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য কতটুকু দক্ষ হবে তা নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক যত্নের ওপর। যোগ্য শিক্ষকরাই কেবল যোগ্য মানুষ গড়ে দিতে পারেন। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে খ্যাতিমান প্রথিতযশা অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে আলোর মশাল তুলে দিতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। ক্লাসরুমে এবং ক্লাসরুমের বাইরেও নানা বিষয়ে তারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করে যাচ্ছেন। সিনিয়র অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে থাকেন। দেশের এবং বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশকৃত মেধাবী এবং প্রতিশ্রুতিশীলদেরকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। শিক্ষক নির্বাচনে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে একটি গতিশীল শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি।

সময় বদলেছে। বর্তমান বিশ্বকে বলা হচ্ছে ‘এ গ্লোবাল ভিলেজ’। একটি গ্রামের মানুষের মধ্যে যে ধরনের পারস্পরিক জানাশোনা থাকে, সামাজিক সম্পর্ক থাকে, আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের মধ্যেও একই ধরণের জানাশোনা এবং সামাজিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে। বর্তমান বিশ্বের জ্ঞানার্জন তাই কোন একটি দেশের স্থানীয় মানদণ্ডে হলে হবে না, তা অবশ্যই হতে হবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জ্ঞানের মাপকাঠিতে। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি তাই প্রথাগত শিক্ষিত মানুষ গড়তে চায় না, চায় বিশ্বমানের দক্ষতায় উন্নীত প্রকৃত মানুষ গড়তে। তবে প্রকৃত মানুষ শুধু দক্ষতার মাপকাঠিতে মাপা যায় না। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়টি একজন শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক দক্ষতার পাশাপাশি মৌলিক মানবীয় গুণাবলি ও নৈতিক মানেও উন্নীত করতে চায়। জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করতে ক্রিটিক্যাল থিংকিং জরুরি। তাই শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের ওপর বিশেষ জোর দেয় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। জ্ঞানার্জনের প্রাথমিক কথা হলো প্রশ্ন করতে জানা। সকল শুরুর ক্ষেত্রে প্রশ্ন করার অভ্যেস গড়ে তোলা জরুরি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন করার অভ্যেস তৈরিতে বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন।

বর্তমান বিশ্বে কোন প্রতিষ্ঠান চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সফটস্কিল কতটুকু আছে সেটা যাচাই করে। এ অবস্থায় শুধুমাত্র হার্ডস্কিল বা কর্মদক্ষতাই একজন প্রার্থীর চাকরিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারছে না। একজন শিক্ষার্থীর সফটস্কিল ডেভেলপ করে তার বিভিন্ন কো-কারিকুলার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস (সিপিডিএস) অফিসের অধীন ১৯টি সক্রিয় ক্লাব ও ফোরাম রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাব কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করে, যা তাদের ব্যক্তি ও কর্মজীবনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পেশাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য দক্ষতাও নিশ্চিত করে সিপিডিএস। প্রফেশনাল ট্রেনিংসহ ক্যারিয়ার সহায়ক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে এ অফিসটি। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ড প্রকল্প শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত মানোয়ন্নয়নে ডিজাইন করা হয়েছে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে, অ্যাম্বাসেডরদের চারটি ক্যাটাগরিতে যথা- ইন্টার্ন অ্যাম্বাসেডর, জুনিয়র অ্যাম্বাসেডর, সিনিয়র অ্যাম্বাসেডর, এবং অ্যাম্বাসেডর মানে অ্যাওয়ার্ডিং করা হয়।

বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে আনতে চায় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং গবেষণা কার্যক্রম এবং আউটকাম বেসড এডুকেশনের উপর নির্ভর করে। এ লক্ষ্য অর্জনে গবেষণাসহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের গবেষণায় ক্ষেত্র নির্বাচন ও ফান্ড প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই ইনস্টিটিউট। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন কোলাবরেশনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির আইকিউএসি অফিস শিক্ষকদের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইতোমধ্যেই শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। গবেষণার মানোন্নয়নে দেশের প্রাজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের সাথে আন্তর্জাতিক স্কলার্স নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের।

শিক্ষকপ্রতি গবেষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। দক্ষ মানবসম্পদ নিশ্চিতকরণে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্কের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দেশের এইচ আর প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একত্রে কাজ করতে চায় এ বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপকদের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় ইন্ডাস্ট্রির চাহিদামতো গ্র্যাজুয়েট তৈরির প্রচেষ্টায় রত রয়েছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত