সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রেমকে ছাত্রলীগ পরিচয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তাঁর বাসায় আক্রমণ করা হয়। প্রেম এবং সাদিক কেউই ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নন। প্রেম কুষ্টিয়ার ছয় রাস্তার মোড়ে এবং সাদিক ঢাকা সায়েন্স ল্যাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা, যার তথ্যপ্রমাণ তাঁদের কাছে আছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সেসব ভিডিও ও ছবি দেখানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম একসময় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। যার বিভিন্ন প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার আসামি আমির হামজার বাবা আবদুর রহিম, শাহারিয়ারের বাবা আবদুর রশিদ, প্রেমের মা সাইমা আক্তার ও সিয়ামের ফুপ্পা জয়নাল আবেদিন।
এর আগে গত রোববার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার নেতারা। সেখানে অভিযোগ করা হয়, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কিশোর গ্যাঙের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা করে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক আইডি দিয়ে চরিত্র হরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। যা একদমই সত্য নয়।’