ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বাগেরহাটের মোংলা উপকূলীয় এলাকায়। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইপিজেডসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। বন্দরে অবস্থানরত দুটি জাহাজে চীন থেকে আমদানি হওয়া সার খালাস বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি জাহাজে পণ্য খালাস বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পণ্য খালাস বন্ধ থাকা জাহাজ দুটি হচ্ছে চীনা পতাকাবাহী ‘গ্রেট বিউটি’ এবং হংকংয়ের পতাকাবাহী ‘হুয়া ইয়ং মেই গুই’।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘সতর্ক অবস্থায় থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও জেটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে পণ্য ওঠানামা ও খালাসের কাজ। বুধবার থেকে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে মিল রেখে তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করে। আবহাওয়া অফিস যখন তাদের সিগন্যাল বাড়াবে তখন মোংলা বন্দর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে বন্দরের নিজস্ব টুইন জাহাজ, পানির বোর্ড ও পাইলট বোর্ডগুলো জেটিতে নিরাপদে রাখা হয়েছে।’ এ ছাড়া বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুম (নিয়ন্ত্রণ কক্ষ) খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, মোংলা নদী ও পশুর নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। নদীতে লাইটার ও ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রিক সকল নৌযান।
এদিকে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিম গঠন, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, শুকনো খাবার ও ১০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা।