এই সময়ে ১৭ দিনে মোট ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে মোট ৫৩৩ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল দিয়ে রপ্তানই করা হয়েছে ৪৮৩ টন ইলিশ। বাংলাদেশের ইলিশ ব্যবসায়ী এবং রপ্তানিকারকদের দাবি, বাংলাদেশে ইলিশ সংকট এবং দামের কারণে চাহিদা অনুযায়ী মাছ রপ্তানি করা যায়নি।
গত বছরের মতই এ বারও কেজি প্রতি ১০ ডলার দামে ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এত কম পরিমান মাছ রপ্তানি হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এই কারণে ইলিশ রপ্তানির জন্য সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন আধিকারিক মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯টি রপ্তানিকারক সংস্থাকে ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় বাণিজ্য মন্ত্রক। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এর মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)।
চলতি বছর প্রথমে বাংলাদেশের মৎস্য দপ্তর ইলিশ রপ্তানি করা হবে না বলে জানিয়েছিল। পরে এই সিদ্ধান্ত বদল করে বাংলাদেশের সরকার। ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রক।
যদিও বিগত বছরগুলির মতই অনুমোদিত পরিমাণ ইলিশ পাঠাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। গত অর্থ বছরেও প্রায় ৪ হাজার ইলিশ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রপ্তানি হয় ৮০২ টন ইলিশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গিয়েছে গত ৫ বছরে ভারতে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।