Homeদেশের গণমাধ্যমেপাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা

পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা


সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচেও জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ১১ রানে হারে পাকিস্তান। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা।

সেঞ্চুরিয়নে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। সাইম আইয়ুবের ৯৮ রানে ভর করে ২০৬ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ভান ডার ডুসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।

২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬ রান জমা হতেই রায়ান রিকেলটনকে হারায় প্রোটিয়ারা। জাহানদাদ খানের বল খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগে আরও একবার প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন পাকিস্তানের এই বোলার। দলীয় ২৮ রানে ম্যাথিউ ব্রিটজকেকে শিকার করেন তিনি। ১০ বলে ১২ রান করে শাহীন আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে সেই চাপ সামলে ওঠেন রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ভান ডার ডুসেন। পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধোনা করে তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। অবশেষে ১১৭ রানে থামেন তিনি। ৬৩ বলে ৭ চার ও ১০টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন হেনড্রিক্স। এরপর ক্লাসেনকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ভান ডার ডুসেন। ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। অন্যদিকে ৫ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। পাকিস্তানের হয়ে জাহানদাদ খান দুটি ও আব্বাস আফ্রিদি নেন একটি উইকেট।

এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। দলীয় ১৬ রানেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর সাইম আইয়ুবের সঙ্গে ৪৫ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন বাবর। ৩১ রান করে বাবর আজম ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন সাইম আইয়ুব। উসমান খান টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ৫ বল। ৩ রান করে তিনি ফেরেন দাইয়ান গালিমের বলে মাফাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে। তায়াব তাহির ফেরেন ৬ রান করে। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে যোগ দেন ইরফান খান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। ১৬ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইরফান। আব্বাস আফ্রিদি ৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাইম আইয়ুব। দুই রানের জন্য তার সেঞ্চরি মিস হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দাইয়ান গালিম ও বার্টমান নেন দুটি করে উইকেট। জর্জ লিন্ডে নেন এক উইকেট।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত