ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানায় আজ বৃহস্পতিবারও শ্রমিকেরা নানা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে।বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৯ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ১৫ শতাংশে উন্নীত এবং ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা, বার্ষিক অর্জিত ছুটির বকেয়া পুরো টাকা প্রতিবছর পরিশোধ করার দাবিতে শুরু হওয়া পোশাক খাতের শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলন ও কর্মবিরতির জেরে আজ বৃহস্পতিবারও আশুলিয়ার কমপক্ষে ২৯টি কারখানায় বন্ধ রয়েছে উৎপাদন কার্যক্রম। সেগুলোর মধ্যে ১০টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বিকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
তবে শ্রমিকরা ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করলেও তারা কোনও বিশৃঙ্খলা করছেন না।
কারখানা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের জেরে আশুলিয়া ওই ২৯টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’র ভিত্তিতে বন্ধ রয়েছে ৮টি কারখানা, সবেতনে ছুটি রয়েছে ৮টিতে এবং কাজ না করে শ্রমিকরা চলে গেছেন বা কাজ বন্ধ করে বসে আছেন এমন কারখানার সংখ্যা ১৩টি।
সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে নাসা গ্রুপ, ট্রাউজার লাইন ও আল মুসলিম।
এ ছাড়া সাধারণ ছুটিতে থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে– নিউ এইজ গার্মেন্টস, নিউ এইজ অ্যাপারেলস, মেডলার অ্যাপারেলা, ব্যান্ডো ডিজাইন। এগুলোর বাইরে শ্রমিকরা এসে কাজ না করে বেরিয়ে গেছেন এমন কারখানার মধ্যে রয়েছে– নিট এশিয়া লিমিটেড, নেক্সট কালেকশন লিমিটেড, ডেকো ডিজাইন লিমিটেড, শারমিন ফ্যাশন, শারমিন অ্যাপারেলস, ইথিকাল গার্মেন্টস, আগামী ফ্যাশন, ক্রসওয়্যার, ফ্যাশন ফোরাম, মুন রেডিওয়্যার লিমিটেডসহ অন্যান্য বিভিন্ন কারখানা।
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মুমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘সকাল থেকে ১৩টিরও বেশি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। এর মধ্যে ১০টি কারখানা কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন।’