কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা
ফের পথে বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ বার নিশানায় রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ দিন বঙ্গভবনে চড়াও হয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম গিয়ে গেলেন তাঁরা। অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্য জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে হাওয়া যা, তাতে যে কোনও মুহূর্তে তা হতেই পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢুকতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ান ছাত্রদের একাংশ। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে তাঁদের। কিন্তু রাতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।সূত্রের খবর, সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ এবং একজন সাউন্ড গ্রেনেডে আহত। রাত ১২টা নাগাদ বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম দাবি করেন, আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রপতির নাম চূড়ান্ত করা হবে। তাঁদের দাবি, সেনাপ্রধান দেশে ফিরলেই সব দলের সঙ্গে আলোচনাক্রমে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ঠিক করা হবে।
অশান্তির সূত্রপাত সাহাবুদ্দিনেরই এক সাক্ষাৎকারকে ঘিরে। সম্প্রতি ‘মানবজমিন’-এর প্রধান সম্পাদকের কাছে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার ইস্তফা সংক্রান্ত কোনও নথি তিনি পাননি! রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘৫ অগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন। এখন বলছেন, তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র নেই। এটা তো শপথ ভঙ্গেরই সামিল। তিনি যদি নিেজর বক্তব্যে অনড় থাকেন, তা হলে তিনি আদৌ পদে থাকতে পারেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।’
ফের পথে বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ বার নিশানায় রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ দিন বঙ্গভবনে চড়াও হয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম গিয়ে গেলেন তাঁরা। অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্য জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে হাওয়া যা, তাতে যে কোনও মুহূর্তে তা হতেই পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢুকতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ান ছাত্রদের একাংশ। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে তাঁদের। কিন্তু রাতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।সূত্রের খবর, সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ এবং একজন সাউন্ড গ্রেনেডে আহত। রাত ১২টা নাগাদ বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম দাবি করেন, আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রপতির নাম চূড়ান্ত করা হবে। তাঁদের দাবি, সেনাপ্রধান দেশে ফিরলেই সব দলের সঙ্গে আলোচনাক্রমে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ঠিক করা হবে।
অশান্তির সূত্রপাত সাহাবুদ্দিনেরই এক সাক্ষাৎকারকে ঘিরে। সম্প্রতি ‘মানবজমিন’-এর প্রধান সম্পাদকের কাছে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার ইস্তফা সংক্রান্ত কোনও নথি তিনি পাননি! রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘৫ অগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন। এখন বলছেন, তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র নেই। এটা তো শপথ ভঙ্গেরই সামিল। তিনি যদি নিেজর বক্তব্যে অনড় থাকেন, তা হলে তিনি আদৌ পদে থাকতে পারেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।’
এ দিন বঙ্গভবন ঘেরাও করতে এসে আন্দোলনকারীরা অবশ্য সরাসরিই বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আওয়ামি লিগ ও শেখ হাসিনার দোসর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না-করলে আমরা জানি কী ভাবে তাঁকে পদ থেকে সরাতে হয়।’
অনড় মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরিও। তাঁর দাবি, ‘হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য নথি থাকলে তো সরকারই তা পেশ করে যাবতীয় সংশয়ের মীমাংসা করতে পারে! আমার মতে, সাহাবুদ্দিন অসত্য কিছুই বলেননি।’