Homeদেশের গণমাধ্যমেমধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নিরসনে আরেক দফা উদ্যোগ নেবেন ব্লিঙ্কেন

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নিরসনে আরেক দফা উদ্যোগ নেবেন ব্লিঙ্কেন


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালাবেন তিনি। একই সঙ্গে লেবাননে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতও প্রশমিত করার চেষ্টা করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্লিঙ্কেনের এটি একাদশতম সফর। সেই হামলার জবাবে গাজা ও লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনও যুদ্ধ প্রশমনে ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরায়েল সম্প্রতি হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহসহ লেবানন ও গাজায় হামাসের নেতাদের হত্যা করে সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে এক বছরের চেষ্টার পর গত সপ্তাহে গাজায় হত্যা করেছে। তবে ইসরায়েলি নেতারা স্পষ্ট করেছেন, হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না।

ইরান ও দেশটির মিত্ররা সিনওয়ারের মৃত্যুকে তাদের দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছে। এর আগে হামাস নেতাদের হত্যার ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও গোষ্ঠীটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করা যায়নি।

ব্লিঙ্কেন তার সফরে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে কূটনৈতিক সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এদিকে, সোমবার মার্কিন দূত আমোস হকস্টেইন বৈরুতে লেবানন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগসূত্র থাকা একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় হামলা করে।

হকস্টেইন জানান, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ২০০৬ সালের সংঘাত শেষে গৃহীত জাতিসংঘের প্রস্তাব ১৭০১ অনুযায়ী দক্ষিণ লেবাননকে যে কোনও অস্ত্র বা বাহিনীর উপস্থিতি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষই প্রস্তাব বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

হকস্টেইন বলেন, আমরা লেবাননের সরকার এবং ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে কাজ করছি, যাতে এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো যায়।

গত এক বছর ধরে সীমান্তে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়েছে।

এদিকে বৈরুতের একজন দোকান কর্মী বলেন, প্রতিদিন বিমান ও ড্রোন দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। আমরা জানি না কারা লক্ষ্যবস্তু এবং কারা মারা যাবে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের রাতের আক্রমণে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত আল-কারদ আল-হাসান অ্যাসোসিয়েশনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। লেবানন সরকার কিংবা হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তরাঞ্চলের শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখেছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে এক বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয় এবং কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা জাবালিয়া এলাকায় ‘সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর’ বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

বৈরুতের বাসিন্দারা হকস্টেইনের প্রচেষ্টার সফলতা নিয়ে সন্দিহান। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমি মনে করি এটি আরও দীর্ঘায়িত হবে। কেউ জানে না ভবিষ্যতে কী হবে।

আরব লিগ মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত বৈরুতে বলেছেন, লেবাননে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য তারা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি করেছেন।

 





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত