কাইয়ুম চৌধুরীর করা গ্রন্থের প্রচ্ছদগুলোর বৈশিষ্ট্য অনুসারে আবুল মনসুর তিনটি পর্বে ভাগ করে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বিভিন্ন বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি তুলে ধরে সেগুলোর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করেন। এতে তিনি দেখান, প্রথম দিকের বইয়ের প্রচ্ছদে কাইয়ুম চৌধুরী বিষয়বস্তু ও নরনারীর অবয়বকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেছেন, তবে অক্ষরের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন কম। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রচ্ছদগুলোতে দেখা যায়, তিনি ক্রমেই লেখা, অক্ষরবিন্যাস ও অক্ষরের আঙ্গিকের ওপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বহু রকম নিরীক্ষা করেছেন। একটা পর্যায়ে এমন এক প্রকারের অক্ষরশৈলী উদ্ভাবন করেছেন, যা দেখেই পাঠক চিনতে পারে—এটি কাইয়ুম চৌধুরীর লেখা। তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, বহু জীবনীভিত্তিক বইতে সেই ব্যক্তিদের তিনি অসাধারণ কিছু প্রতিকৃতি এঁকেছেন। অধিকাংশ প্রকৃতিই জলরঙের। এগুলো এতটাই শিল্পগুণসমৃদ্ধ যে তা উচ্চমানের পরিপূর্ণ শিল্পকর্মের স্তরে উন্নীত হয়েছে।
পরে তরুণ প্রজন্মের শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর ছাত্র আনিসুজ্জামান সোহেল স্মৃতিচারণা করেন।