ঐশি বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানান, তাঁর ফুফার কাছ থেকে ফোন পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসেন। ভেতর থেকে গেট বন্ধ থাকায় কয়েকবার ধাক্কা দেন। এরপর জানালায় ধাক্কা দেন। এতে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী নন্দ সূত্রধরের স্ত্রী মিতালী সূত্রধরকে ডেকে আনেন। মিতালী সূত্রধর কয়েকজন কিশোরকে বললে তারা প্রাচীর টপকে ভেতরে গিয়ে গেট খুলে দেয়। এরপর ঘরের ভেতরে ঢুকে তাঁরা অঞ্জলি প্রামাণিকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
অঞ্জলির স্বামী গণেশ প্রামাণিক বলেন, কী কারণে ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। কারও সঙ্গে শত্রুতাও নেই। বাড়িতে জমি বিক্রির বায়না করার ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং তিন ভরির বেশি স্বর্ণালংকার ছিল। খুনিরা টাকা ও কিছু গয়না নিয়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, খুনের রহস্য উন্মোচনে সদর থানা-পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্তের কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।