গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তারপরেই একটি সমাবেশে, তারেক জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলির নিষ্পপ্তি হলেই তিনি দেশ ফিরবেন। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অনেকগুলি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তবে, ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, এখনও ১১৭টি মামলায় অভিযুক্ত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। তত্ত্বাবধায়ক এবং আওয়ামি লিগের সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে ৩৭টি আর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮০টি মামলা রয়েছে।
এছাড়াও হাসিনার আমলে বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে প্রায় ৪ লাখ মামলা হয়েছে। প্রক্রিয়াগত ধীরগতির কারণে এখনও এই মামলাগুলির নিষ্পত্তি হচ্ছে না। তাই তারেক যাতে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন সেই জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং প্রত্যাহার করার জন্য তাগদা দিচ্ছে বিএনপি।
জানা গিয়েছে, হাসিনার আমলে ২১শে অগস্ট গ্রেনেড হামলা, অর্থ পাচার, রাষ্ট্রদ্রোহ সহ প্রায় ৮০টি মামলা দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ২১শে অগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক সমাবেশ চলার সময় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। আরও কয়েকটি মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। বেশ কয়েকটি মামলায় তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাও হয়। তবে সবগুলি মামলাতেই এখন জামিনে আছেন ৭৯ বছরের খালেদা জিয়া।
বিএনপির দাবি, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে তারেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলাগুলি প্রত্যাহার করার জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আওয়ামি লিগের আমলে করা মামলাগুলি একই অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন কায়সার। অন্যদিকে, কীভাবে এই মামলা প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় তা নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।