বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোহান শাহ নামের এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সেখ বশির উদ্দিনের নাম রয়েছে বলে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমি চেতনার সঙ্গেই ছিলাম। নামের সঙ্গে আংশিক মিল থাকলেও আমি এ হত্যা মামলা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত নই।’
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন সেখ বশির উদ্দিন। পরে তাঁকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ে ছিল তাঁর প্রথম কার্যদিবস। এদিন তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। এ সময় সেখ বশির উদ্দিন সামগ্রিকভাবে জনগণের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সোহান শাহ হত্যা মামলায় মোট ৫৭ জন আসামির মধ্যে ৪৯ নম্বর তালিকায় থাকা নামটি হলো ‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’, যা বাণিজ্য উপদেষ্টা ‘সেখ বশির উদ্দিন’-এর নামের সঙ্গে আংশিক মিল রয়েছে। পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা। আসামি সেখ বশিরের বাবার নামের সঙ্গেও বাণিজ্য উপদেষ্টার বাবা সেখ আকিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার নামেরও আংশিক মিল রয়েছে।
এ নিয়েই সাংবাদিকেরা উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নামের আংশিক সংগতি ও অসংগতি থাকলেও তিনি নিশ্চিত নন, মামলাটি তাঁর নামে হয়েছে কি না।’
এ সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি-সংক্রান্ত ইস্যুতে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির ফলে আমাদের টাকার অঙ্কে যেটা বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা সেভাবে বাড়েনি বরং ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। আমরা যদি একজন শ্রমিকের দিকে দেখি, তাহলে তাঁর জীবনমানের মধ্যে কম্প্রোমাইজ চলে এসেছে।’
এ বাস্তবতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তিনি ম্যাজিক কোনো প্রত্যাশাও করেন না বলেও দাবি করেন। একই সঙ্গে জনগণকে স্বস্তি দিতে সম্মিলিতভাবে সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।