মাঠের পাশে টিফিন টাইমে ঝালমুড়ি আর ফুচকার দোকান বসে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন আজিজ ভাই, টিফিন টাইমে কেউ পালায় কি না নজরদারির জন্য। শিল্পী মাসি টিফিনের ঘণ্টা বাজাতেই আমি এক দৌড়ে স্কুলের পেছনে গিয়ে লুকিয়ে থাকলাম। ওরা দুজন স্যারের স্বাক্ষর দেওয়া কাগজ দেখিয়ে দেওয়ায় আজিজ ভাই তাদের যেতে দিলেন। আমি তখন সাহস করে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের পেছন দিকের নদী ঘেঁষে চুপি চুপি বেরিয়ে এলাম।
দুই পাশে সাঁকো দেওয়া নদীটা পার হয়ে গ্রামে ঢুকলাম। ঢুকে দেখি, তারা দুজন আমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। কীভাবে স্কুল থেকে বের হয়ে এলাম, তার বিবরণ দিতে দিতে আমরা গ্রামের ছোট রাস্তা ধরে চললাম। হঠাৎ ইতি বলল, সে টাকা আনতে ভুলে গেছে। আমরা বললাম, আমাদের কাছে যথেষ্ট আছে, যা খুশি কিনতে পারবে। কী কিনব, কী খাব ইত্যাদি পরিকল্পনা করতে করতে মেলার মাঠের খুব কাছে যখন চলে এলাম, তখন দেখি, না আছে মেলা, না আছেন সেই সন্ন্যাসী; যাঁর অসাধারণ সব জাদু দেখতে আমাদের আসা।