জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ছবিঃ সংগৃহীত
“>
জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক আজ অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
“দ্রুত সংস্কার করুন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই… তবে নির্বাচন কবে হবে? এ বিষয়ে আপনার (অন্তবর্তীকালীন সরকারের) কাছ থেকে আমাদের একটি স্পষ্ট বক্তব্য প্রয়োজন,” শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বক্তৃতাকালে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ একথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) প্রধান অতিথি ছিলেন ‘নির্বাচন ও নতুন বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশ সত্যের শক্তির আহ্বায়ক লেখক ও কলামিস্ট রাকেশ রহমানের সভাপতিত্বে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
ফারুক বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন বলেছিলেন, তারা শিগগিরই জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
কিন্তু তারা তা করেনি, বরং হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করেছে।
“চোখের চিকিৎসার নামে হাসিনা লন্ডন ও আমেরিকায় মঈনুদ্দিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন আ.লীগকে ক্ষমতায় আনার চুক্তি করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়,” বলেন বিএনপি নেতা।
ক্ষমতাচ্যুত আ’লীগের বন্ধুরা এখন দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ফারুক বলেন, তারা বিপুল অর্থের মালিক এবং অসংখ্য দুর্নীতির অংশীদার।
তিনি বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কেন ৭০০ টাকা? [per kg] এখন? শেখ হাসিনার সিন্ডিকেট কি এখনো সক্রিয়? যদি তারা এখনও সক্রিয় থাকে, অনুগ্রহ করে কাউকে তাদের খুঁজে বের করার এবং তাদের নাম প্রকাশ করার জন্য নিয়োগ করুন, “তিনি বলেছিলেন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিএনপি নেতা।
দূর্গা পূজা মন্ডপে সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফারুক বলেন, “আমি মনে করি যারা এই অবৈধ কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করা খুব সহজ।”
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুন্ডাদের মালিকানাধীন অবৈধ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে এবং পূজা মণ্ডপে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে এটাই স্বাভাবিক।
প্রশাসন থেকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের গোষ্ঠীগুলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের সব দলকে সচিবালয় ও সাংবিধানিক সংস্থা থেকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত শহীদ মুগধা ও অন্যদের আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন হবে না।
তিনি গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সহ-সদস্য সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলী সপু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ হোসেন, সিবিএম মোছা. মোছার সদস্য মাহমুদা হাবিবা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন, অপরাজেয় সাধারণ সম্পাদক মুম্বই হোসেন প্রমুখ। হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
Md Manjur Hossain Isa of Bangladesh Satyer Shakti moderated the dialogue.