যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবানন থেকে আরও ১৯৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত ১১টায় বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন তারা। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় অপর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৬৭ জন দেশে ফিরবেন একই সময়ে। ফিরিয়ে আনা এসব প্রবাসীদের রাতে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. রুহুল আমিন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩৩৮ বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ফেরত এসেছেন ৫৪ জন। ২৩ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ৯৬, ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে ৩০, ২৯ অক্টোবর রাতে ৩৬, ৩১ অক্টোবর ৫২ জনকে এবং ৩ নভেম্বর ৭০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী দেশে ফিরে আসতে চান, তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফিরিয়ে আনবে। বৈরুত থেকে দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যে সব প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, লেবাননে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে যেতে দূতাবাস বরাবর আবেদন করেছেন এবং যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।