গভীর রাতে ঘোরাঘুরি করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন প্রেমিক যুগল। থানায় নেওয়ার পর জানা যায়, প্রেমিকার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। স্বামী প্রবাসে থাকায় তিন সন্তানকে রেখে প্রেমিকের ডাকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চলে এসেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে।গতকাল রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয় সোহাগী এলাকা থেকে। আজ সোমবার দু’জনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি ধরতে সোহাগী এলাকায় যায়। সেখানে অভিযানের সময় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগীর ভেতর দিয়ে গৌরীপুর উপজেলায় যাওয়ার সড়কে রাত তিনটার দিকে পাওয়া যায় ওই যুগলকে। এ সময় পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে।
পরে জানা জানা যায়, মহিলা হচ্ছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার খয়েরচারা গ্রামের মৃত অটল আলীর মেয়ে নাসরিন খাতুন (২৯) ও ছেলেটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন(২২)।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উবায়দুর রহমান জানান, আটককৃত মহিলা জানান তার স্বামী গত প্রায় ২ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।
বড় মেয়ের বয়স ১১ মোজো মেয়ের ৭ ও ছেলের বয়স আড়াই বছর। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই মোবাইলে রং নাম্বারে পরিচয় হয় জয়নালের সঙ্গে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার প্রেমিককে কুষ্টিয়ায় ডেকে নিয়ে দেখাও করেন। এ অবস্থায় কয়েক মাস দেখা না হওয়ায় দুই দিন আগে প্রেমিক জয়নালের অনুরোধে গত রোববার কুষ্টিয়া থেকে প্রেমিকের কাছে চলে আসেন। পরে রাত হয়ে গেলে ঈশ্বরগঞ্জ দিয়ে গৌরীপুর জয়নালের বাড়ি যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটক হন তারা।
জানা যায়, খবর পেয়ে আজ সোমবার নাসরিনের পরিবারের লোকজন থানায় এলে তিনি যেতে চাননি। অপর দিকে ছেলের পরিবার বিয়ে করানোর কথা বললে আগের স্বামীর অনুমতি না থাকায় আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৯০ ধারায় দু’জনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এম এইচ/