খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ইস্টার সানডে’ বা যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান দিবস রোববার (২০ এপ্রিল)। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সংবেদনশীল এবং আনন্দের।
পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে কিছু বিপথগামী ইহুদি যিশুখ্রিষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিলেন। ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য যিশুকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছিল।
খ্রিষ্টান ধর্ম মতে, এই দিনে ঈশ্বরপুত্র যিশু মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়ে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস অর্থ্যাৎ রোববার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে ওঠেন। তাই যিশুর পুনরুত্থানের এই রোববারকে ইস্টার সানডে বলা হয়।
বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া ইস্টার সানডে উপলক্ষে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বিশ্বের সব খ্রিষ্টান ভাইবোন ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ইস্টার সানডের চেতনা বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
দিনটি উপলক্ষে আজ সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে ঢাকা আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা করবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। এরপর প্রার্থনাসংগীত, বাইবেল পাঠ, আশীর্বচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় হবে বিশেষ প্রার্থনা।
এ ছাড়া রাজধানীর কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের ক্যাথলিক চার্চ মিশনসহ সব গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।