ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার তার ফেসবুক টাইমলাইনে সম্প্রতি সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট লিখেছেন। তার এই লেখায় সম্মেলনের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং বিনিয়োগ সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে সমালোচনার জবাব দেন ।
মজুমদার তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “বিনিয়োগ সম্মেলনকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছি। দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে এখন সবাই আলোচনা করছেন – এটাই সম্মেলনের প্রধান অর্জন।” তিনি আরও যোগ করেন, গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতাগুলো স্বীকার করতে অস্বীকার করলেও এই সম্মেলনের মাধ্যমে সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট করেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন কোনো হাউজিং ফেয়ার নয়। এখানে তাৎক্ষণিক ফলাফলের প্রত্যাশা করা যায় না।” সম্মেলনে স্বাক্ষরিত ২৬০ মিলিয়ন ডলারের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং আগ্রহ পত্র (এলওআই) সম্পর্কে তিনি বলেন, “এগুলো পূর্ববর্তী আলোচনার ফল। প্রকৃত বিনিয়োগ পেতে আমাদের আরও কয়েক মাস থেকে দেড় বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।”
মেয়াদ সীমিত থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের এই উদ্যোগকে তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার মতে, “এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য একটি টেকসই প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যত সরকারগুলোর জন্য পথ প্রশস্ত করবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “মিডিয়া থেকে এ প্রশ্ন আসার কথা ছিল যে কেন শুধু তিনটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্ভবত এটা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল যে আসন্ন নির্বাচনে এই দলগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।”
মজুমদার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “সম্মেলন সফল হলেও এখন আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ।”
তিনি তার লেখা শেষ করেন আশাবাদী মন্তব্যে করে বলেন “এই সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে এগিয়ে যাই।”