Homeসাহিত্যসি-মোরগ ও ইগল

সি-মোরগ ও ইগল


আজ বিশ্ববিশ্রুত আর্হেন্তিনীয় কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক হোর্হে লুইস বোর্হেস (২৪ আগস্ট ১৮৯৯-১৪ জুন ১৯৮৬) এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। বোর্হেসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাস্বরূপ তাঁর The Simurgh and the Eagle নিবন্ধের অনুবাদ প্রকাশ করা হলো।

সি-মোরগ ও ইগল
আক্ষরিকভাবে বলতে গেলে, একটি বস্তু একইরকম আরও কিছু বস্তু দ্বারা গঠিত, যেমন একটি পাখি আরও ক’টি পাখি দ্বারা, এমত ধারণা থেকে কী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেতে পারে? এভাবে সূত্রায়িত করা হলে, সমস্যাটি থেকে মনে হয়, দৃশ্যত অপ্রীতিকর না হলেও, নেহাতই তুচ্ছ সমাধানই বেরিয়ে আসবে। কেউ কেউ ধরে নিতে পারেন, এতে করে পালক, চক্ষু, জিহ্বা আর কর্ণের পুনঃপুন পুনরাবৃত্তিতে নির্মিত “monstrum horrendum ingens” (বিশাল ভয়ংকর দানব) এর সমূহ সম্ভাবনাই বুঝি নিঃশেষিত হয়ে যায়, যা Aenid এর চার নম্বর পুস্তকে বর্ণিত ‘খ্যাতি’ (অথবা কেলেঙ্কারি কিংবা গুজব), অথবা Leviathan গ্রন্থের প্রচ্ছদপরবর্তী পৃষ্ঠাতে দৃশ্যমান তলোয়ার ও ইত্যাকার বস্তুতে সজ্জিত মানুষদের দ্বারা নির্মিত সেই অদ্ভুত রাজারই শরীরী রূপ। ফ্রান্সিস বেকন (Essays, 1625) উক্ত ছবিদ্বয়ের প্রথমটির প্রশংসা করেছেন; চসার ও শেকসপিয়র এর অনুকরণ করেছেন; আজ কেউই একে Acheron পশুর চেয়ে উন্নত কিছু মনে করে না, যা কি-না Visio Tundali এর গোটা পঞ্চাশেক পাণ্ডুলিপি অনুসারে, তার গোলাকার উদরের মধ্যে সকল পাপীকে লুকিয়ে রাখে, যেখানে তারা সারমেয়, সিংহ, ভালুক, নেকড়ে ও সর্পের দ্বারা নিগৃহীত হয়।

বিমূর্তভাবে, একই বস্তুসমূহ দ্বারা তৈরি বস্তুর ধারণাটিকে তেমন প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন মনে হয় না: তারপরও এক অবিশ্বাস্য উপায়ে, পশ্চিমা সাহিত্যের একটি, এবং পূর্বের সাহিত্যেরও আরেকটি স্মরণীয় চরিত্রের সঙ্গে এই ধারণাটির সাযুজ্য খুঁজে পাওয়া যায়। সংক্ষিপ্ত এই রচনাটির উদ্দেশ্য এ দুই আশ্চর্য কল্পসাহিত্যের নিদর্শন সম্পর্কে আলোকপাত করা, যার একটি রচিত হয়েছিল ইতালিতে এবং অপরটি নিশাপুরে।

প্রথমটির অবস্থান Paradiso মহাকাব্যের ১৮ নম্বর সর্গে। এককেন্দ্রিক বৃত্তাকার স্বর্গসমূহের পথে যাত্রাকালে দান্তে বিয়াত্রিচের চোখে-মুখে গভীর আনন্দ, ও তাঁর সৌন্দর্যে দারুণ এক শক্তির দেখা পান, এবং বুঝতে পারেন তাঁরা মঙ্গলের লালাভ স্বর্গ থেকে বৃহস্পতির স্বর্গে আরোহণ করেছেন। এই গোলকের প্রশস্ততর বৃত্তাংশজুড়ে, যেখানে আলোর রং সাদা, স্বর্গীয় প্রাণীরা উড়ন্তাবস্থায় গান গাইতে গাইতে একে একে এই বাক্যাংশের DILIGITE IUSTITIUM অক্ষরগুলো দিয়ে একটি ইগলের মস্তকের আদল নির্মাণ করে, পার্থিব ইগলসমূহের অনুকরণ করে নয় অবশ্যই, বরং ‘আত্মা’ কর্তৃক সরাসরি নির্মিত হয় তা। তারপর পুরো ইগলটাই ঝকঝক করে ওঠে: এটি তৈরি হয়েছে শতসহস্র ন্যায়পরায়ণ রাজার শরীর দিয়ে। সাম্রাজ্যের অভ্রান্ত প্রতীক, এটি এক স্বরে কথা বলে, এবং ‘আমরা’র পরিবর্তে ‘আমি’ উচ্চারণ করে (Paradiso, সর্গ ১৯, পৃষ্ঠা ১১)। একটি প্রাচীন সমস্যা দান্তের বিবেককে পীড়িত করছিল: এটা কি ঈশ্বরের পক্ষে অন্যায় নয়, সিন্ধু নদীর তীরে জন্ম নেওয়া কাউকে বিশ্বাসহীনতার জন্য শাস্তি দেওয়া, যার পক্ষে যিশু সম্পর্কে কিছু জানা সম্ভবই নয়? ইগল স্বর্গীয় প্রত্যাদেশের সঙ্গে মানানসই রহস্য সহকারে উত্তর দেয়: সে এইসব নির্বোধ প্রশ্নকে খারিজ করে, এবং পুনরাবৃত্তি করে যে, পুণ্যবানদের জন্য বিশ্বাস অপরিহার্য, এবং ইঙ্গিত দেয়, ঈশ্বর কোনো কোনো গুণবান অবিশ্বাসীর হৃদয়েও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেন। সে আরও দাবি করে যে, ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্টদের মধ্যে ছিলেন ট্রাজান সম্রাট ও রিফিউসের ট্রোজান, প্রথমজন খ্রিষ্টপূর্ব ও পরের জন খ্রিস্টোত্তর আমলের।(যদিও চৌদ্দশ শতাব্দীতে তা ছিল খুবই আকর্ষণীয় ও সমাদৃত, বিংশ শতাব্দীতে এসে ইগলের চেহারার কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে, যা কি-না উজ্জ্বল ইগল এবং সুউচ্চ, অগ্নিগর্ভ অক্ষরসমূহকে বরাদ্দ রাখে বাণিজ্যিক প্রচারণার জন্য: তুলনীয় চেস্টারটনের What I Saw in America, ১৯২২।)

এটা সত্যি যে, কম্মেদিয়ার একটি মহান চরিত্রকে কেউ অতিক্রম করে যেতে সক্ষম হয়েছেন তা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে: তা সত্ত্বেও বলতেই হয় যে, এই অর্জন সত্যিই ঘটেছিল। ফরিদ আল দিন আত্তার, একজন পারস্যের সুফি, এক সাইমুর্গ তথা সি-মোরগের (ত্রিশটি পাখি) কথা কল্পনা করেছেন, যা দৃশ্যত সেই চরিত্রটিকেই ধারণ এবং তার আরও উন্নতিসাধন করে।

ফরিদ আল দিন আত্তার নিশাপুরে জন্মেছেন, নীলাভ সবুজ রং আর তলোয়ারের দেশে। ফারসিতে আত্তার অর্থ ‘যিনি ঔষধের কারবার করেন’। আমরা Lives of the Poets গ্রন্থে পড়ি যে, সত্যি সত্যিই এটা তাঁর জীবিকা ছিল। একদিন বিকেলে একজন দরবেশ তাঁর ঔষধের দোকানে প্রবেশ করেন এবং চারদিকে তাকিয়ে, অসংখ্য বয়াম ও বাক্সো দেখে কাঁদতে শুরু করেন। আত্তার, বিস্মিত ও বিরক্ত, তাঁকে চলে যেতে বলেন। দরবেশ জবাবে বলেন: “আমার চলে যাওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই, কেননা আমি কিছুই বহন করছি না সঙ্গে। কিন্তু তোমার কথা ভাবছি, তোমাকে এই বিশাল ঐশ্বর্যকে বিদায় জানাতে গেলে বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।” আত্তারের হৃৎপিণ্ড কর্পূরের মতো শীতল হয়ে যায়। দরবেশ চলে গেলেন, কিন্তু পরদিন আত্তারও এই দোকান ও জগতের যত শ্রম, সব পরিত্যাগ করলেন।

মক্কায় তীর্থের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে তিনি মিশর, সিরিয়া, তুর্কিস্তান ও উত্তর ভারত অতিক্রম করেন, এবং সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি নিজেকে সাহিত্যসৃষ্টি ও ঈশ্বরের গভীর অনুধ্যানে নিমগ্ন রাখেন। এটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, তিনি প্রায় বিশ হাজার দ্বিপদী রেখে গেছেন: তাঁর কাজগুলোর শিরোনাম The Book of the Nightingale, The Book of Adversity, The Book of Instruction, The Book of Mysteries, The Book of Divine Knowledge, The Lives of Saints, The King and the Rose, A Declaration of Wonders এবং অনন্যসাধারণ Conference of the Birds (মানতিক আল-তায়ের)। তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলোতে, যার দৈর্ঘ্য বলা হয়ে থাকে একশ দশ বছর, তিনি পার্থিব সকল সুখকেই বিসর্জন দিয়েছিলেন, এমনকি পদ্যরচনাকেও। তাঁকে চেঙ্গিস খানের পুত্র তুলের সৈন্যরা হত্যা করেছিল। আমি শুরুতে যে দানবীয় মূর্তিটির কথা উল্লেখ করেছি, সেটি এই মানতিক আল-তায়ের গ্রন্থের ভিত্তি, যার আখ্যানটি এরকম:

দূরদেশের সেই পাখিদের রাজা সি-মোরগ একদিন তাঁর একটা চমৎকার পালক ফেলে দেন চিন দেশের ঠিক কেন্দ্রভূমিতে: তাদের শতাব্দী-পুরোনো নৈরাজ্যে ক্লান্ত পাখিরা তখন সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সেই রাজার সন্ধানে যাবে। পাখিরা জানত তাদের রাজার নামের অর্থ ত্রিশটি পাখি, তারা জানত তিনি পৃথিবীকে বেষ্টন করে থাকা বৃত্তাকার পর্বত কাফ এ থাকেন।

তারা সেই প্রায় অসীম অভিযানে উদ্যত হয়। তারা সাতটি উপত্যকা কিংবা সমুদ্র অতিক্রম করে, যার সর্বশেষটির নাম Annihilation আর তার আগেরটির নাম Vertigo। বহু তীর্থযাত্রী হাল ছেড়ে দেয়, অন্যেরা ধ্বংস হয়ে যায়। ত্রিশজন, তাদের সাধনায় পরিশুদ্ধ, সি-মোরগের পর্বতে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। তারা অবশেষে তার দিকে চোখ মেলে তাকায়: তাদের ধারণা হয় তারাই সি-মোরগ এবং তারা প্রত্যেকে এবং সবাই একজন সি-মোরগ। সেই সি-মোরগ পর্বতে ছিল ত্রিশটি পাখি এবং যার প্রত্যেকেই আবার একেকটি সি-মোরগ। (প্লটিনাসও…The Enneads V, 8.4…তাঁর সত্তাসংক্রান্ত নীতির একপ্রকার স্বর্গকেন্দ্রিক প্রসারণের কথা বলেন, ”অনুভবযোগ্য স্বর্গের প্রতিটি অংশই সম্পূর্ণ, সবাই সম্পূর্ণ এবং প্রত্যেকেই পূর্ণ। সূর্য সেখানে সবগুলো নক্ষত্রের সমাহার, আবার প্রতিটি নক্ষত্রই সব নক্ষত্র ও সূর্যের যোগফল।”)

সি-মোরগ ও ইগলের মধ্যেকার পার্থক্য, তাদের সাদৃশ্যের চেয়ে কম দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। ঈগল স্রেফ অযৌক্তিক, যেখানে সি-মোরগ রীতিমতো অসম্ভব। যে-ব্যক্তিদের দ্বারা ইগলের অবয়ব নির্মিত, তাঁরা সেখানে বিলীন হয়ে যান না; (ডেভিড একটি চোখের ভূমিকা পালন করেন; ট্রাজান, এজেকিয়েল ও কনস্তানতিন ভ্রুয়ের ভূমিকা); যে-পাখিরা সি-মোরগের দিকে দৃষ্টিপাত করে, তারা একইসঙ্গে নিজেরাও সি-মোরগ। ইগল সেখানে একটি ক্রান্তিকালীন প্রতীক, যেমনটি ছিল তার সামনের অক্ষরসমূহ; যারা তাদের শরীর দিয়ে এর আকৃতি তৈরি করেছিল তারা নিজেদের অস্তিত্ব হারায়নি, সর্বত্রগামী সি-মোরগ সেখানে অঙ্গাঙ্গীভাবেই যুক্ত। ইগলের পেছনে রয়েছেন ইসরায়েল ও রোমের ব্যক্তিগত ঈশ্বর, আর জাদুকরী সি-মোরগের পেছনে সর্বেশ্বর।

একটি শেষ পর্যবেক্ষণ। সি-মোরগ কিংবদন্তির যে কল্পনাশক্তি তা সবার কাছেই দৃশ্যমান; তুলনায় কম উচ্চকিত, কিন্তু কোনো অংশেই কম বাস্তব নয়, এর প্রাবল্য ও পরিমিতি। তীর্থযাত্রীরা একটি অজানা গন্তব্যের খোঁজে যায়, যে গন্তব্য কেবল সবার শেষেই উদ্‌ঘাটিত হবে, যার অবশ্যই বিস্ময় উৎপাদনের সক্ষমতা থাকতে হবে এবং যা স্রেফ আরোপিত হবে না, কিংবা যাকে দেখে তা মনে হবে না। লেখক এই জটিলতা থেকে নিষ্ক্রান্ত হন ধ্রুপদি সৌকর্য সহকারে; অনুসন্ধানকারীরা আসলে তাদের নিজেদেরকেই খুঁজছে, এমত কৌশল অবলম্বন করে। এইভাবে ডেভিডই হচ্ছেন নাথানের বলা সেই গল্পের গোপন নায়ক (II Samuel 12); একই কায়দায় De Quincey রও এমন প্রস্তাবনা যে, মানবসাধারণ নয়, ব্যক্তি ইডিপাসই হচ্ছেন থিবান স্ফিঙ্কসের সেই জটিল ধাঁধার প্রগাঢ় সমাধান।

টীকা

১. একইভাবে Leibniz Gi Monadology (1714) তে আমরা পড়ি যে, মহাবিশ্ব আরও কিছু গৌণ মহাবিশ্ব দ্বারা গঠিত, সেটি আবার পুরো মহাবিশ্বকে ধারণ করে এবং এই প্রক্রিয়া অসীমকাল অবধি চলতে থাকে।
২. Pompeo Venturi Ripheus এর নির্বাচনকে অনুমোদন দেন না, যিনি এই শীর্ষসন্দর্ভের আগপর্যন্ত কেবল Aeneid (II, 339, 426) এর কয়েকটি লাইনেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। ভার্জিল তাকে ট্রোজানদের মধ্যে সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ বলে ঘোষণা দেন, এবং তাঁর সমাপ্তির প্রতিবেদনে এই অনিচ্ছুক শব্দবিলোপটুকু যোগ করেন: Dies Aliter Visum (ঈশ্বর অন্য রায় দিয়েছিলেন)। পুরো সাহিত্যের পরিমণ্ডলে আর কোথাও তার উল্লেখ নেই। সম্ভবত দান্তে তাকে এই আবছায়া অস্পষ্টতার প্রতীক হিসাবেই নির্বাচন করেছিলেন: তুলনীয় Casini (1921) ও Guido Vitali (1943) এর ভাষ্যসমূহ।
৩. কাতিবি, Confluence of the Two Seas এর লেখক ঘোষণা করেন, ”আমি নিশাপুরের বাগান, আত্তারের মতো, কিন্তু আমি কাঁটা আর আত্তার ছিলেন গোলাপ।”
৪. সিলবিনা ওকাম্পো এই অধ্যায়টিকে একটি কবিতার মাধ্যমে (Espacios Metricos, 12) উপস্থাপন করেছিলেন এভাবে: ”এক বিশাল আয়নার মতো এই পাখিটি ছিলেন ঈশ্বর: / কেবল প্রতিফলন স্বরূপ নয়, তাদের সবাইকে আত্মস্থ করেই।/ তাঁর পালকের মধ্যে প্রত্যেকেই তার নিজের পালককে খুঁজে পেয়েছিল, / তাঁর চোখের মধ্যে পালকের স্মৃতিপূর্ণ তাদেরই চোখ।”

হোর্হে লুইস বোর্হেস (১৮৯৯-১৯৮৬) এর জন্ম আর্হেন্তিনার বুয়েনোস আইরেস শহরে। শিক্ষাজীবন কাটে সুইজারল্যান্ডে। তখনই  ফরাসি ও জার্মান উভয় ভাষাই খুব দক্ষতার সঙ্গে আয়ত্ত করেন তিনি। প্রথম মহাযুদ্ধের পরপর ইউরোপ ভ্রমণকালে খ্যাতনামা লেখকদের সংস্পর্শে আসেন এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহী হয়ে ওঠেন। কবিতা দিয়েই হাতেখড়ি, যদিও বোর্হেসের খ্যাতি মূলত নতুন ধরনের, নিরীক্ষাধর্মী, দর্শনঋদ্ধ গল্প-লিখিয়ে হিসেবে। গদ্য-পদ্য-প্রবন্ধ মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের প্রায় সব বড় বড় পুরস্কারপ্রাপ্তির সৌভাগ্য হলেও নোবেল পুরস্কারটি একাধিকবার মনোনীত হওয়া সত্ত্বেও কেন জানি শেষপর্যন্ত তা জোটেনি তাঁর ভাগ্যে। ১৯৮৬ সালে প্রায়ান্ধ অবস্থায় জেনেভায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর কবিতায় স্মৃতি, সময়, অস্তিত্ব ও আত্মবীক্ষণের মতো অধিবিদ্যক বিষয়গুলো উঠে আসে একধরনের নিজস্ব ও প্রাতিস্বিক কাব্যভাষায়। বোর্হেসের কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে প্রণিধানযোগ্য: ফারভার অভ বুয়েনোস আইরেস (১৯২৩), পোয়েমাস (১৯৪৩), ড্রিম টাইগারস (১৯৬০), ওবরাস পোয়েতিকাস (১৯৬৪), দা গোল্ড অভ দা টাইগারস (১৯৭২), ইন প্রেইজ অভ ডার্কনেস (১৯৭৪) ইত্যাদি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত