অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়েছে মাসউদ আহমাদের নতুন উপন্যাস ‘তিতাসের বুনো হাঁস’। উপন্যাসটি অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবন ও সময় অবলম্বনে লেখা ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাটে মালো পরিবারে জন্মেছিলেন অদ্বৈত মল্লবর্মণ। ভদ্রলোকেরা ‘গাবরপাড়া’ বলে তাচ্ছিল্য করতো। শৈশবেই মা-বাবাকে হারিয়ে অকূলপাথারে পড়েন। প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে আইএ ক্লাসে ভর্তি হলেও আর্থিক সঙ্কটে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় পাড়ি দেন। ত্রিপুরা পত্রিকায় সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি; পরে নবশক্তি, মোহাম্মদী ও সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় কাজ করেন। আচমকা যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়লে কাঁচড়াপাড়া যক্ষ্মা হাসপাতালে ভর্তি হয়েও তিনি পালিয়ে যান; লেখার কাজ ও মালো সম্প্রদায়ের মানুষের টানে। অকৃতদার মানুষটির ৩৭ বছরের জীবনের আদ্যোপান্ত সংগ্রামে ভরা। গল্পকার ও ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি অসামান্য প্রতিভা, তবু রহস্যময় কারণে জীবদ্দশায় ‘ভারতের চিঠি : পার্লবাককে’ ছাড়া আর কোনো গ্রন্থই প্রকাশ করেননি। কেমন ছিল তার ব্যক্তিগত জীবনের লড়াই আর মানসরাজ্য? সময়ের জলছাপে তার নামটি মুছে গেলেও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ স্বমহিমায় ভাস্বর। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ-ই ছিল জীবনের আরাধনা, সেই অনগ্রসর জনপদ থেকে বেরিয়ে কালের ধুলোয় মিশে যেতে যেতেও নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধিই নয়, বাংলা সাহিত্যের পাদপ্রদীপের আলোয় কীভাবে তিনি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্টরূপে ধরা পড়লেন? ‘তিতাসের বুনো হাঁস’ উপন্যাসে মন কেমন করা সেই গল্পই ধরা পড়েছে।
প্রচ্ছদ: আরাফাত করিম।
প্রকাশনী: প্রথমা প্রকাশন।
মূল্য: ৪৭০ টাকা।
স্টল নং: প্যাভিলিয়ন ৬।