Homeসাহিত্যক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা

ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা


২৩তম পর্ব 

‘এতো রক্ত কেন?’

নৃশংসতায় রচিত আরাধনা, রক্তে ভেজা যূপকাষ্ঠ।

(“… রঘুপতি কহিলেন, ‘মহারাজ, আমি জগতের রক্তপাত করিয়া যে পিশাচীকে এতকাল সেবা করিয়া আসিয়াছি, সে অবশেষে আমারই হৃদয়ের সমস্ত রক্ত শোষণ করিয়া পান করিয়াছে। সেই শোণিত পিপাসী জড়তা-মূঢ়তাকে আমি দূর করিইয়া আসিয়াছি; সে এখন মহারাজের রাজ্যের দেবমন্দিরে নাই, এখন সে রাজসভায় প্রবেশ করিয়া সিংহাসনে চড়িয়া বসিয়াছে ।”) –রাজর্ষি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

‘বাল্যকাল’ ক্রমশ হাঁটতে হাঁটতে কৈশোরে এসে দাঁড়ায় একদিন। আমারও হাজারো স্মৃতিতে জড়িয়ে থাকা বালক বেলা গুটিগুটি করে ক্রমশ হাত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিল। মন ও শরীর জানান দিচ্ছিল কৈশোর কালের গণ্ডিরেখা পার হয়ে যৌবন আসছে। বড় হওয়ার এই বার্তা নিবিড় ঘনিষ্ঠ বিত্ত থেকেই প্রথম আসে। খেলতে খেলতে হঠাৎ ছুঁয়ে যাওয়া ‘স্পর্শ’ কখনো বিশেষ হয়ে ওঠে। আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তার দক্ষিণের সেই পানাপুকুরের পূর্বের যে ছোট্ট মাঠ ও মাঠ ঘেঁষা এক চিলতে জঙ্গল, সেই উনিশ-কুড়ি কাঠা জমির সুপারি গাছ ও আনারস ঝোপ, ঢেঁকি শাকের জঙ্গলে এক ভর দুপুরে আমাকে বাঘে ধরল। দু-পায়ের রমণীয় বাঘ শরীরের হলুদ ডোরাকাটা জামা খুলে তার বাঘিনী শরীর দেখায়। সোনারকাঠি পাঠাগারের ওই আধো-অন্ধকারে ছিটকে যাওয়া মেয়েটির শরীরের সঙ্গে এই বাঘিনীর কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। মনের শরীর আর দেহের শরীরের মাঝে থাকে বিস্তর ফারাক। এমন শরীরী পুতুল খেলায় মেতে ওঠার এই বর হওয়া মন আর শরীরকে আলাদা করল, মনের স্পর্শ একা হয়ে গেল। এমনই আর এক গভীর রাতে মধ্যবয়সি এক শরীর আমার সামনে তার উন্মুক্ত মাংস খুলে রাখল। মাংসের গন্ধে কেউ মাতাল হয়, কেউ পালিয়ে যায়। আমি কি করব ভাবতে ভাবতেই কেঁদে ফেলল সেই শরীরের মানুষি— ‘তুই কি পুরুষ হবি না?’ আমি ভাবি, পুরুষ হতে হলে কি নারীকে ‘মেয়েমানুষ’ ভাবতে হবে? শারীরিক যন্ত্রের স্কেলে মেপে নিতে হয় ক্ষণিকের উল্লাস? আমি ধাক্কা দিয়ে নিজেকে ঘুরিয়ে দিলাম মাংসল আদর থেকে। দেখলাম প্রত্যাখ্যাত মধ্যবয়সী শরীরটা তাঁর উন্মুক্ত কাম নিয়ে স্তব্ধ হয়ে প্রত্যাখ্যানের কুঁকড়ে যাচ্ছে। আমি কবরের শীতল হাওয়ায় ঠান্ডা হয়ে গেলাম।

নিজেকে জানার এক একটা প্রাচীর অতিক্রমের অভিজ্ঞতাই প্রকৃত জীবনের পাঠ দেয়। কোনো কোনো রাতে আমি ঘুমের ওপাড়ে দাঁড়িয়ে শুনতে পাই কেউ কথা বলছে। হয়ত আমি তখন ঘুমের আরো গভীরে, যেখানে স্বপ্নেরও প্রবেশ অধিকার নেই— ‘জগতের সমস্ত পুরুষের, সমস্ত নারীর জন্ম যে জন্মনালীতে সেখানে প্রত্যাখ্যানের চিহ্ন আঁকা যে— সে একদিন একাকিত্বের জঙ্গলে পথ হারাবে’। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি এক সাদা পৃষ্ঠায় সবুজ কালিতে লিখলাম— ‘আমি পুরুষ বা মাংসল জন্তু হতে চাই না, আমি প্রেমিক হতে চাই। নোনা শরীর নয়, মনকে সুন্দর করে নিবেদন যোগ্য করে তোলাই এই জীবনের অভিমুখ হোক’। ব্যক্তিগত ডাইরির প্রথম পাতায় সেই সাদা কাগজটা সেঁটে রাখলাম।

আমার সেই বাল্যকাল থেকে কৈশোর পার হয়ে যৌবনের পথ অতিক্রম রেখার বাঁকে বাঁকে অনেক ঘটনার স্মৃতি রয়ে গেছে। কিন্তু ঘটনাগুলোর সময়টাকে আজ অনেক সময়ই মেলাতে পারি না। স্মৃতির কোনো সাক্ষ্য থাকে না, সেই স্মৃতি ব্যক্তিগত হয়ে উঠলে তাঁর সাক্ষীসাবুদ জোগাড় করা  আরও দুরূহ। আর ব্যক্তিগত স্মৃতি তো সাক্ষ্য বিহীনই হয়, সময় চক্রই একমাত্র সাক্ষী। আমার বাস্তবিক ‘গুরুদেব’ দেবেশ রায় তাঁর স্মৃতিকথায় এই ‘স্মৃতি’ নিয়ে সুন্দর লিখেছেন— ‘অসুবিধা এই জায়গায়-পরম্পরায় ও যুক্তির শৃঙ্খলা বাঁধা না হলে, স্মৃতি আকার পায় না। স্মৃতি অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ, রোজকার ঘটনার চাইতে অনেক বেশি। দিনক্ষণ, সময়, তার আগে কী, পরেই-বা কী, তার সঙ্গই বা কী, অনুষঙ্গই বা কী— এসব একেবারে ঘড়ি ও পাঁজি মেলান না-হলে, যার স্মৃতি তার কাছেই গ্রাহ্য হয় না। স্মৃতির কোনো সাক্ষীও থাকে না, শরিকও থাকে না। একই ঘটনায় যদি একাধিক মানুষ জড়িয়ে থাকে তা হলে স্মৃতিও একাধিক হয়ে যায়। এবং আশ্চর্য ভিন্ন-ভিন্ন প্রতিটি স্মৃতিই একবারে যেন নথিভুক্ত।” আমার মনে হয় মানুষের স্মৃতিতে একটা কানাগলিও থাকে,  সেখানে ঢুকলে পথ হারানোর ভয় থাকে। কানাগলিতে স্মৃতির দেহ থাকে অথবা দেহের কথাগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, যেমন গণিকাপল্লিতে মেয়েরা, জাত কুল হারিয়ে দেহকে পণ্য করার সরিতে একে অন্যের হাত ধরে দাঁড়াতে থাকে, ভোগের ক্রেতা আসে যায়।

আমার সেই সময়ের বন্ধুদের প্রায় সবটাই ছিল বাড়ির নিকট বৃত্তের। আমাদের পেছনের, ৪ নম্বর গলির মনোজদের বাড়িতে একটা কালী মন্দির ছিল। জাঁকজমক ধুমধাম করে সেখানে বাৎসরিক পুজো হত। অমাবস্যার রাতে সেই পুজো নিয়ে হইচইয়ে আমিও মেতে থাকতাম। সেই পুজোয় পাঁঠা বলি হত। পশুবলি প্রথার আদিম হিংস্রতা নিয়ে ভাবনাচিন্তা তখনো মাথায় আসেনি। এই নিয়ে তর্কবিতর্কের যুক্তিগ্রাহ্য আধুনিকতা তখনও আমাদের চর্চায় যুক্ত হয়নি। কালো একটা  পাঁঠা যূপকাষ্ঠে বলি দেওয়া হত। এই বলির জন্যই নির্মিত বিশেষ ‘রাম দা’ একমাত্র সেদিনই  নামানো হত। এখানে ‘রাম’ অর্থে খুব বড়, সেই বিরাট আকারের রাম দা পূজার উপকরণ হত। লাল ধুতি পরে পুরোহিত নিজেই বলি দিতেন। তার আগে পাঁঠাটাকে স্নান করিয়ে, অর্ঘ্য হিসাবে ফুল বেলপাতায় সাজানো হত। হাড়িকাঠে সেই অবলা পশুটির মাথাটা ঢুকিয়ে একটা কাঠি দিয়ে তাকে সেখানে আটকে দেওয়া হত। আর্ত চিৎকারে ছটফট করত পাঁঠাটা। মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার অনুভূতি হয়ত তাকে বাঁচাবার আর্তি জোগান দিত। মনোজের সঙ্গে নানারকমের কাজকর্মে সাহায্য করার জন্য আমিও থাকতাম, কিন্তু হাড়িকাঠে আটকে থাকা সেই পূজার অর্ঘ্য জন্তুটির অসহায় চিৎকার আমাকে খুব যন্ত্রণা দিত। মন্দিরের সামনে তখন লোকে-লোকারণ্য, আমি নিঃশব্দে সেখান থেকে পালিয়ে আসতাম। পরবর্তীকালে সেখানে একাধিক পাঁঠা বলি হত। আশপাশের অনেকেই ‘মানত’ করে এখানে এসে পাঁঠা উৎসর্গ করতেন, কারো ছেলে মেয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করলে, কারো নতুন বাড়ি হলে বা কারো চাকরি হলে।

মনোজদের বাড়ি থেকে আরো পশ্চিমে ডাঙা পাড়া, আটষট্টির বন্যাতেও যে পাড়া জলে ডোবেনি সেই ডাঙা পাড়ায় দয়াময়ী কালিবাড়ী সেই সময় খুব বিখ্যাত ছিল, মা বলতেন জাগ্রত কালি। এই ‘জাগ্রত’ নিয়ে পরে অনেকদিন মায়ের সঙ্গে, পিসির সঙ্গে তর্কে নেমেছি। সেই দয়াময়ী কালী মন্দিরে মহিষ বলি দেওয়া হত বলে। একবার ঠাকুরমার হাত ধরে সেই বলি দেখতে গিয়েছিলাম। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেও ঠাকুরমার জন্য মন্দিরের পুরোহিতের পক্ষ থেকে আলাদা সমাদর ছিল। দয়াময়ী কালীবাড়ির পুরোহিতের বউ ঠাকুরমার বন্ধু। অত বড় একটা প্রাণীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে ঘিরে জনতার উল্লাস আমাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করেছিল। ওই বলি দেখে বাসায় ফিরে বেশ কয়েকদিন সেই আতঙ্ক থেকে বেরুতে পারিনি। অবলা গবাদি পশুর রক্তে যাকে আরাধনা করতে হয় সে কি করে ‘দয়াময়ী’ হয় তা আমি কোনোদিন ভেবে পাইনি। সেই রাতে জ্বর এসে গেল। মা ঠাকুরমাকে সেই কথা বলেছিলেন, রাতে ঠাকুরমা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন আর নিজেই বলেছিলেন, ‘তোকে  আমি না নিয়ে গেলেই ভালো করতাম, বাচ্চা ছেলে তুই, এত নরম মন তোর’। অর্ধ চেতন আমি যেন শুনতে পেলাম মা আমাকে  রবীন্দ্রনাথের রাজর্ষি থেকে পড়ে শোনাচ্ছেন, জ্বরের ঘোরে শুনছিলাম— 

‘রাজা সন্ধ্যাবেলায় আবার হাসিকে দেখিতে আসিলেন। তখন বালিকা প্রলাপ বকিতেছে। বলিতেছেন ‘মাগো, এত রক্ত কেন!’
রাজা কহিলেন, ‘মা, এ রক্তস্রোত আমি নিবারণ করিব।’ 
বালিকা বলিল, ‘আয় ভাই টাটা, আমরা দুজনে এ রক্ত মুছে ফেলি।’
রাজা কহিলেন, ‘আয় মা, আমিও মুছি।’

ঠাকুমার, মায়ের কথাবার্তায় বুঝছিলাম আমি তখনো তাদের কাছে ছোট্ট বাবন রয়ে গেছি। যৌবনের গরমে গায়ে লেগেছে এটা তাদের নজরে আসে নাই। এই বাল্যকালে আটকে থাকা  আমি ভেতরে ভেতরে ছটফট করছিলাম। আপ্রাণ চাইছিলাম বেরিয়ে আসতে, বড় হতে। অনেকেরই শরীর ও মন বোধহয় একসাথে বাড়ে না, মন প্রাপ্ত বয়স পায় পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া থেকে। শরীর যৌবনের আগুন স্পর্শ করলেও, মন কি ততটা ‘বয়স’ স্বীকৃতি নিয়ে ‘সোমত্ত’ হয়। ঠাকুরমা প্রায়শই এই ‘সোমত্ত’ শব্দটা ‘সোমত্থ’ বলে উচ্চারণ করতেন, মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া প্রসঙ্গে ।

শৈশবে দেখা সেই হাড়িকাঠ থেকে বিরাট একতা রাম দা’য়ের এক কোপে দ্বিখণ্ডিত মহিষ, ছিটকে যাওয়া তার ছিন্নশির আমাকে পরবর্তীতে বারংবার ঘাত করেছে, জিজ্ঞাসার সামন দাঁড় করিয়ে। কঠোউপনিষদের সেই নচিকাতার মতো, পিতার বলিদান যজ্ঞকে যিনি প্রশ্নের কাঁটায় বিঁধেছিলেন। তাঁর এই ক্রমাগত জিজ্ঞাসায় অসন্তুষ্ট পিতা পুত্র নচিকেতাকে নরকে পাঠিয়েছিলেন।

মনোজদের বাড়ির কালীপূজার রাতের অনেকদিন পরে, দয়াময়ী কালীবাড়ির সেই ভয়ানক বলিদৃশ্য দেখার অনেক বছর পরে একবার ত্রিপুরা গিয়েছিলাম। ‘কথা’-এর দীলিপ দাসের সাহিত্যানুষ্ঠানের আমন্ত্রণে। অনুষ্ঠানের পরদিন আমি ও প্রবুব্ধসুন্দর কর, দুজনে ত্রিপুরা দর্শনে বের হই। প্রবুব্ধর এক বন্ধুর গাড়ি, আমরা তিনজন। প্রথম দর্শন রবিঠাকুরের ‘বিসর্জন’ নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে যে মন্দিরের নাম সেই ভগবতীর মন্দির, ভুবনেশ্বরী দেবী মন্দির। অদৃশ্য থেকে যেনো দেখতে পেলাম অতীতের বাস্তবতাকে তুলে আনা মর্মান্তিক এক দৃশ্য— সূর্যকরোজ্জ্বল প্রভাতের স্নিগ্ধতায় গোমতী নদীর জল রক্তে লালে লাল হয়ে গেছে। “হাসি ও তাতার হাত ধরে রাজা স্নান করিতে আসিয়াছেন। একটি রক্তস্রোতের রেখা স্বেত প্রস্তরের ঘাটের সোপান বাহিয়া জলে গিয়া শেষ হইয়াছে। কাল রাত্রে যে একশো-এক মহিষ বলি হইয়াছে তাহারই রক্ত। হাসি সেই রক্তের দাগ দেখিয়া একপ্রকার সংকোচে সরিয়া গিয়া রাজাকে জিজ্ঞাসা করিল, ‘এ কীসের দাগ বাবা!’ রাজা বলিলেন, ‘রক্তের দাগ মা!’” অবোধ শিশু বিস্ময়ে, বিহ্বলতায় জিজ্ঞাসা করে— ‘এতো রক্ত কেন?’ রাজারও মনের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠতে থাকল, ‘এতো রক্ত কেন!’ রাজা শিহরিত হন। বহুদিন, প্রতিবছর এই রক্তের স্রোত দেখে আসছেন, একটি ছোট্ট মেয়ের জিজ্ঞাসায় তারও মনে উদিত হল— ‘এতো রক্ত কেন!’ 

এই জিজ্ঞাসা সেই অবোধ শিশুমনের, অগ্রজ অপর্ণার কাছে নয়, রাজা গোবিন্দমাণিক্যের কাছে নয়, এমন কি রাজপুরোহিত রঘুপতির কাছেও নয়। এ প্রশ্ন সংশুদ্ধ-প্রবুব্ধ-প্রমুক্ত বিশ্বের মানবতার কাছে। সেদিন অশান্ত বিশ্বের সামনে, ধর্মকে কেন্দ্র করে যে হানাহানি-সন্ত্রাস তার বিরুদ্ধে কলম তুলে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ, চেয়েছিলেন ‘ধর্মকারার প্রাচীরে’ আঘাত হানতে। ‘বিসর্জন’-এ তাই তিনি সামনে এনেছিলেন রঘুপতিকে, অজ্ঞতার অন্ধকারকে পুঁজি করে রঘুপতি ধর্মের নামে রক্তের স্রোত দেখার মোহে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিলেন। দেবী তো চাননি জীবের রক্তস্রোত। গোবিন্দমাণিক্যের আদেশে যখন বলিদান বন্ধ হয় তাতে দেবী ক্ষুণ্ন হননি, ক্ষুণ্ন যদি কেউ হন তিনি রঘুপতি।

সেদিন আমরা তিন জন এরপর যাই উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে। সেদিন দেবীর বিশেষ পূজার আয়োজন হয়েছিল। শত সহস্র পুণ্যার্থী এদিন দেবীর মন্দিরে বলি চড়াতে আসেন, নিরীহ পাঁঠাবলি প্রদত্ত হয়। আমরা যখন সেখানে পৌঁছাই গোটা মন্দির চাতাল বলির পশুর রক্তে ভিজে গেছে। একদিকে স্তুপকৃত ছিন্ন ছাগ মস্তক। এই দৃশ্যের মর্মান্তিক ভয়াবহতায় আমি বস্তুত পালিয়ে আসি। প্রবুদ্ধ বলছিল– ধর্মের কুশলী কৃপাণ মানুষ আর পশুর মধ্যেকার দূরত্ব কমিয়ে দেয়, মানুষের মধ্যে পশুত্ব ভর করে।

চলবে





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত