ইসমাইল কাদারে পাঠের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, তিনি একজন মহান গল্পকার। চমৎকার গল্প বলতে পারেন, এবং অসংখ্য চমৎকার গল্প বলেছেনও।
তিনি খানিকটা বালজাকের মতো। কিন্তু বালজাক নিজেকে ১৮২০-এর দশকের প্যারিসেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন (তার লেখায় গুটিকয়েক ফরাসি প্রদেশ এবং রেনেসাঁর উল্লেখ ছিল কেবল)। অপরদিকে, কাদারে আমাদের সর্বত্র নিয়ে যান : প্রাচীন মিশরে, আধুনিক চীনে, বাল্টিক অঞ্চলের কোনো পর্যটক রিসোর্টে, মস্কোতে, অস্ট্রিয়াতে এবং অটোমান সাম্রাজ্যের দিকে। বিশ্ব ভ্রমণে তিনি জুল ভার্নের মতোই।
ইসমাইল কাদারে পড়লে, লিখন পদ্ধতি যখন থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে, তখন থেকে বর্তমান অবধি যা যা হয়েছে : গিজার গ্রেট পিরামিড নির্মাণ থেকে শুরু করে ১৯৮০-এর দশকে আলবেনিয়ায় এনভার হোক্সার উত্তরাধিকার নিয়ে বিতর্ক অবধি; কমিউনিজমের পতনের ফলে পশ্চিম ইউরোপে যেসব ঘটনা ও পরিস্থিতি সংঘটিত হয়েছিল তার বর্ণনাও পাওয়া যায়।
কাদারের বেশিরভাগ গল্প ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষিতে রচিত। ‘ব্রোকেন এপ্রিল’১৯৩০-এর দশকের গল্প; ‘ক্রোনিকল ইন স্টোন’ ১৯৪০-এর দশকের গল্প; ১৯৫০-এর দশকের গল্প ‘দ্য জেনারেল অফ দ্য ডেড আর্মি’, আবার ১৯৭০-এর পৃথিবীর গল্প ‘আগামেনন’স ডটার’। এই গল্পগুলো আপনাকে কথাসাহিত্যের মাধ্যমে আলবেনিয়া, তথা সারা বিশ্বের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। কাদারে পাঠ করার এটিও একটি কারণ, এবং এজন্যেই আমি কাদারে পাঠ করতে পছন্দ করি। সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে তিনি একটি সমান্তরাল মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন, যা আমরা যে মহাবিশ্বে বাস করি তার সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত। তার লেখা যেন সাহিত্যের মোড়কে পুরো পৃথিবীর প্রতিনিধি।
কাদারে অবশ্য শুধু একজন গল্প লেখক নন; তিনি একজন নাট্যকার, প্রাবন্ধিকও। এছাড়া জীবনের এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকতা করেছেন এবং পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনের শুরুতে, আধুনিক আলবেনিয়ার নতুন যুগের কবি হিসেবে তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে ইংরেজির পাঠকরা তাকে মূলত কথাসাহিত্যিক হিসেবেই চেনে। এতে অবশ্য তেমন একটা দোষের কিছু নেই, কেননা সৃষ্টিশীলতার অঙ্গনে তার অধিকাংশ কাজই উপন্যাসের আকারে হয়েছে৷
কাদারে যে শুধু ‘এক ধরনের’ উপন্যাসই লেখেন, তা কিন্তু না। তার কিছু গল্প বেশ ছোট, মাত্র পাঁচ পৃষ্ঠা দীর্ঘ, যেমন : ‘দা ড্রিম কুরিয়ার’; আবার এমন গল্প আছে যা পাঁচশ পৃষ্ঠায়ও আঁটে না। ছোটগল্পের মধ্যে ‘আগামেনন’স ডটার’-এর মতো দীর্ঘ গল্প রয়েছে, আবার ‘দ্য ফ্লাইট অফ দ্য স্টর্ক’-এর মতো উপন্যাসিকা রয়েছে, যাদেরকে কাদারে ‘মাইক্রোনভেলস’বলে ডাকেন। একটি উপন্যাস সচরাচর যেমন দীর্ঘ হয়, তেমনি দীর্ঘ একটি কাজ ‘ব্রোকেন এপ্রিল’। আবার তার থেকেও দীর্ঘ উপন্যাস লিখে সেগুলোকে ‘দ্য কনসার্ট’বা ‘দ্য গ্রেট উইন্টার’নামকরণ করেছেন। তাই, পাঠাভ্যাস নির্মাণের ক্ষেত্রে, একজন পাঠক হিসেবে আপনি এমন একটি বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন যা তৈরি হয়েছে আমাদের চেনা পৃথিবীর সমস্ত বৈচিত্র্য দিয়ে।
আপাতদৃষ্টিতে কাদারেকে এমন একজন লেখক মনে হতে পারে, যিনি শুধু আলবেরিয়ায় হোক্সা শাসনের অধীনে তার যাপিত জীবন নিয়েই শুধু লিখেছেন। এই ব্যাপারটি আংশিক সত্য; কাদারের সাহিত্যের দুনিয়ার সকল স্থান, কাল এবং পাত্র একটি নির্দিষ্ট স্থান এবং সময়ের স্থানচ্যুতির অনুলিপি মাত্র। কিন্তু এটা আপনার না জানলেও চলবে এবং কাদারে পড়ার জন্য এমন কোনো পূর্বে অর্জিত ধ্যানধারণার প্রয়োজন নেই। আপনি কাদারের গল্পগুলোকে কেবল গল্প হিসেবে পড়তে পারেন। তিনি আপনাকে ভূতের, পঙ্খীরাজ ঘোড়ার পিঠে চড়ে মাইলের পর মাইল উড়ে বেড়ানো কনেদের, কবর থেকে ওঠে আসা মৃতদেহের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারেন। তিনি সেসব বিষয়ে আপনার মনোজগতে প্রভাব ফেলতে পারেন যেসব বিষয় যুক্তিবাদী আধুনিক পাঠকের কাছে হয়ত তৎক্ষণাৎ আকর্ষণীয় নয়। কিন্তু, তিনি আধুনিক মন ও স্থানীয় বাস্তবতার সাথে মিথ এবং লোককাহিনির এতটাই নিপুণভাবে সংমিশ্রণ করতে পারেন যে, আমি না চাইতেই তার লেখার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি এবং আপনিও করবেন। কাদারের সাহিত্যে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত, যেমন : অযৌক্তিকতা ও অদ্ভুতুরে ব্যাপার আমাদের চেনা জগত থেকে অতিক্রান্ত।
কাদারের লেখায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং ধ্রুব বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রাচীন গ্রীসের নির্দিষ্ট কিছু মিথের ব্যবহার : কাদারে পুরো গ্রিক পুরাণ তুলে ধরেননি কখনোই, তবে যেই পৌরাণিক কাহিনিগুলো পারিবারিক ঘৃণা এবং ক্ষমতার প্রতি মানুষের কলুষিত এবং ভয়ংকর আকাঙ্ক্ষাকে ফুটিয়ে তোলে— তা তিনি ব্যবহার করেছেন।
দ্বিতীয় যে জিনিসটি কাদারের লেখায় প্রায়শই পাওয়া যায়, তা হচ্ছে বলকান লোককাহিনী। আমি ইচ্ছা করেই এই লোককাহিনীকে আলবেনিয় না বলে বলকান বলছি, কারণ এই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষায় এই লোককাহিনী খুঁজে পাওয়া যায়। কাদারে বলকান সংস্কৃতির জাতিগত উদ্ভব-বিষয়ক প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে ‘দ্য ফাইল অন এইচ’বইতে খোলামেলাভাবে আলোচনা করেছেন। এই বইটিকে তার সেরা কাজগুলোর একটি ধরা হয়, এতে ১৯৩০-এর দশকে আলবেনীয় বর্ডারল্যান্ডসে আমেরিকান লোকসাহিত্যিকরা কীভাবে সাংস্কৃতিক শোষণ চালিয়েছে তা উপন্যাসের আকারে উঠে এসেছে।
কাদারের লেখার তৃতীয় প্রভাবশালী বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কাদারে প্রায় প্রতিটি গল্পেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের সাথে রাজনীতি বা রাজনৈতিক সম্পর্কের মেলবন্ধন অন্বেষণ করেছেন। এই রাজনীতি অবশ্য আমরা সচরাচর যে রাজনীতি প্রত্যক্ষ করি, অর্থাৎ দলীয় অর্থে রাজনীতি নয়। তার গল্পে রাজনীতি, কীভাবে একটা গোষ্ঠী বা একজন লোক অন্যদের চালিত করে, তাদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রভাব বিস্তার করে— তা প্রকাশ করে।
আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আবহাওয়া, যা অনেকের মতেই একটি চরিত্রের সমান গুরুত্ব বহন করে। কাদারের আবহাওয়া সবসময়ই ভয়ংকর, এবং এর তুলনায় স্কটল্যান্ডের আবহাওয়াকে ইতালিয়ান রিভিয়েরার মতো শান্ত মনে হয়। একজন পাঠক হিসেবে আপনি খুব সহজেই কাদারের আবহাওয়ার বিদঘুটে (কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, তুষার, ঠান্ডা, মেঘলা) চিত্র ধরতে পারবেন। বিষয়টি খানিকটা হাস্যকরও বটে, যেহেতু আলবেনিয়ার জলবায়ু আদতে ইতালীয় রিভিয়েরার মতোই স্নিগ্ধ; লোক লোমন্ডের তীরের মতো চরম ভাবাপন্ন না। এই আবহাওয়া কোনো দৃশ্যে প্রধান ভূমিকা পালন না করলেও, দৃশ্যের মেজাজ কেমন তা জানান দেয়, এবং পাঠক বুঝতে পারে যে এটা কোনো সুখের গল্প হতে যাচ্ছে না। তারা আদতে এর থেকেও অনেক বেশি কিছু করে : তারা আপনাকে বলে যে এই গল্পে সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করা শস্য নিয়ে আসা কোনো স্বর্ণকেশী কুমারী ট্রাক্টরে বসে থাকবে না; আলবেনিয় সাহিত্যের ওপর সোভিয়েত মতবাদের করাল গ্রাস এই গল্পগুলোতে অনুপস্থিত থাকবে। যে সমাজে, সমালোচনাকে ভালো চোখে দেখা হয় না, তেমন একটি সমাজের ভেতর দিয়ে একটি অনন্য অবস্থান গড়ে তোলার অত্যন্ত ধূর্ত উপায় এটি।
কাদারের মানব চরিত্রগুলো প্রায়ই নিশ্চিত যে, তারা জেগে আছে নাকি ঘুমিয়ে আছে। গল্পগুলোতে তাদের জীবনের ভূমিকা শুরু হয় এভাবে : ‘তার কাছে মনে হয়েছিল যে…’, ‘সে নিশ্চিত ছিল না যে সে কী…’ এবং এরকম সব বাক্য দিয়ে। পরিষ্কারভাবে দেখতে পারা এবং না পারার মাঝের বিভেদরেখা তার গল্পে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই আপনি যখন একটি উপন্যাস পড়া শেষ করেন, সেটি ‘দ্য ঘোস্ট রাইডার’-এর মতো কিংবদন্তির পুনঃনির্মাণ হোক বা ‘দ্য ডেড আর্মি’-এর মতো একটি ঐতিহাসিক পুনর্গঠন হোক, আপনি স্বপ্ন দেখছেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন না। কাদারে ক্রমাগত আমাদের জাগ্রত এবং সচেতন পৃথিবীর সাথে স্বপ্নের অবাস্তবকে তুলনা করতে প্রলুব্ধ করেন; এবং আমরা বুঝতে পারি কীভাবে জীবন একাধারে সবচেয়ে সুন্দর স্বপ্ন এবং সবচেয়ে নির্দয় দুঃস্বপ্নকে প্রতিফলিত করে।
তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ‘প্যালেস অফ ড্রিমস’(মূলত ‘দ্য এমপ্লয়ি অব দা প্যালেস অফ ড্রিমস শিরোনাম) হলো কাদারের বিচ্ছুরিত কাল্পনিক জগতের কেন্দ্রীয় স্তম্ভ : এটি এমন একটি উপন্যাস যার ভিত্তি একটি অশুভ এবং অপ্রত্যাশিত স্বৈরাচারী সমাজ, যা মানুষকে স্বপ্ন দেখতে নিরুৎসাহিত করে। এই সমাজের কেন্দ্রে আমরা একজন যুবককে খুঁজে পাই। যুবকটি একইসাথে সংবেদনশীল এবং বিভ্রান্ত; সে জানে না সে কী করছে বা কীভাবে এই গোটা গল্প তার মধ্য দিয়ে আবর্তিত হচ্ছে।
এভাবে স্বপ্ন এবং বাস্তবতার পার্থক্য, সর্বদা বৃষ্টি ও তুষারপাত হওয়া রূঢ় এক আবহাওয়ার গল্প শুনে আপনি হয়ত ভয়ে অনাগ্রহ বোধ করছেন। আমি আপনাদেরকে অনেকটা জোর দিয়েই জানাতে চাই যে, কাদারে বেশ মজার। আপনাকে শুরুতে চোখ বন্ধ করে এই সমান্তরাল বিশ্বে ডুব দিতে হবে, একবার ডুব দিতে পারলে আপনি ধূর্ত এবং কৌতুকপূর্ণ এক ধরনের হাস্যরস খুঁজে পাবেন যা একইসাথে পরিস্থিতিগত এবং মৌখিক। মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যদি অনুবাদও পড়েন, তাও কাদারের ধূর্ত হাস্যরস উপলব্ধি করতে পারবেন।
কাদারে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, তার পাঠক এবং সমালোচকদের একটি গল্পের প্রেক্ষাপটে খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত নয়। আমি তাকে এভাবে পাঠ করা সমর্থন করি, এবং উল্লেখ করতে চাই যে, কাদারের গল্প বলার ধরন এবং তিনি যে গল্পগুলো বলছেন তা গত ষাট বছরে বিন্দুমাত্রও পরিবর্তিত হয়নি যদিও এই একই সময়ে লেখকের সামাজিক, ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এটি এমন যে, কাদারের কাল্পনিক জগৎ শুরুতেই সম্পূর্ণরূপে গড়ে উঠেছিল, এবং এর পরে আমরা যে চল্লিশ বা পঞ্চাশটি গল্প ও উপন্যাস পাঠ করছি তা সেই বৃহত্তর, সুসংগঠিত, অপরিবর্তনীয় সামগ্রিক ধারণার খণ্ডাংশ মাত্র।
কাদারের ‘ওভ্র (œeuvre)’ (তথা তার সমগ্র সাহিত্যকর্ম)-এর আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে স্থান, গল্প, বস্তু এবং বাস্তব দুনিয়ার সাথে সম্পর্কস্থাপন। ‘দ্য গ্রেট ওয়াল’উদাহরণস্বরূপ, একটি চিহ্ন রয়েছে যা তারই অন্য একটি উপন্যাস ‘থ্রি-আর্চড ব্রিজ’ থেকে ওঠে এসেছে। ‘দ্য ফাইল অন এইচ’ বইতে একটি সরাইখানার উল্লেখ আছে যা আরও কয়েকটি গল্পে পরিদর্শন করা হয়েছে। ‘দা বাইন্ডিং অর্ডার’বইতে আমরা একটি যুবকের সম্পর্কে জানি, যে পরে ‘প্যালেস অফ ড্রিমস’-এর নায়ক হয়ে ওঠবেন। আবার, ‘প্যালেস অফ ড্রিমস’একটি মহাকাব্য মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয় যা আমাদেরকে‘দা ফাইল অন এইচ’এর কথা মনে করিয়ে দেয়। বালজাক, যেভাবে তার ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’সিরিজে তার লেখা পুরোনো কোনো বই থেকে চরিত্র তুলে এনেছেন, কাদারেও ঠিক এমনই করেছেন, তবে আমার মনে হয় কাদারে বালজাক থেকেও অনেক নিগূঢ়ভাবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করেছেন, কেননা কাদারে বইগুলোতে পুরোনো চরিত্র, স্থান বা বস্তুকে সরাসরি বা ইঙ্গিতের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনলেও তিনি বইগুলোর প্লটকে পুরোপুরি সংযুক্ত করেননি। এটি একটি অসাধারণ কৃতিত্ব; আপনি যখন কাদারের কোনো একটি গল্প পড়ছেন, আপনি যা পড়ছেন তা শুধু সেই গল্পটিই নয়, বরং একটি সমগ্র স্মৃতি। একইসাথে এই গল্পটি পড়তে পড়তে অন্য গল্পগুলোও আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন এবং আপনার মনে হবে আপনি স্বপ্নের মতো সুন্দর ভিন্ন একটি পৃথিবীতে আছেন।
সূত্র : ওয়ার্ল্ড লিটারেচার টুডে