Homeজাতীয়প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

চলে গেলেন ২০১৩ সালে “বাংলা একাডেমী” পুরস্কারপ্রাপ্ত দ্রোহের কবি “হেলাল হাফিজ” । ‘আমাকে দুঃখের শ্লোক কে শোনাবে? কে দেখাবে আমাকে দুঃখের চিহ্ন কী এমন, দুঃখ তো আমার সেই জন্ম থেকে জীবনের, একমাত্র মৌলিক কাহিনি। আমার শৈশব বলে কিছু নেই, আমার কৈশোর বলে কিছু নেই, আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার।’ এমন বিরহ-সংলাপে সাজানো দুর্দান্ত কাব্যময় জীবন কাটানো কবি হেলাল হাফিজ ৭৬ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমালেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কবিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চলচ্চিত্র নির্মাতা কবিবন্ধু শবনব ফেরদৌসী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কবি যে হোস্টেলে থাকতেন, সেখানকার বাথরুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ 

২০২২ সালে কবি মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর বন্ধু ইসমত শিল্পীর বাসায় কিছুকাল কাটিয়ে ফের একাকী জীবনে ফিরে যান। চিরচেনা শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেলেই শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত কাটিয়ে গেলেন হেলাল হাফিজ। কবি ডায়াবেটিস, কিডনি আর গ্লুকোমার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে। শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য কেটেছে নিজের শহরেই। ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাকে প্রথম পরিচিতি পাইয়ে দেয়। 

এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে হেলাল হাফিজের এই লাইনগুলো, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কবিকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর বইটির ৩৩টির বেশি সংস্করণ বেরিয়েছে।২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত