Homeলিড নিউজআত্মহত্যা নাকি হত্যা

আত্মহত্যা নাকি হত্যা

তৃষ্ণা বিশ্বাস ২২ বছর পার হওয়া এক স্বপ্নবিলাসী তরুণীর নাম। যে জীবনে অগ্রগতি না থেকে সে জীবন অবাঞ্ছিত।  এই অসাধারণ  জীবন দর্শন ধারণ করে যে জীবনের তরী বেয়ে স্বপ্ন বিলাসী মেয়ে পৌছাতে চেয়েছিল কাঙ্খিত স্বপ্ন শিখরে । কতিপয় মানুষরুপী হিংস্র  হায়েনার  দল   নিমিষেই  ডুবিয়ে দিল তার সে স্বপ্ন আচ্ছাদিত জীবন তরী। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা ?

মাদারিপুরের মেয়ে তৃষ্ণা বিশ্বাস পটুয়াখালী থানায় কর্মরত ছিল। গত ২০ জানুয়ারী রবিবার পটুয়াখালী পুলিশ লাইনের নারী ব্যারাকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। থানা থেকে সকাল ৮.৩০ এ মাদারীপুরে কল করে তৃষ্ণার মাকে জানানো হয় যে সে আত্মহত্যা করেছে। অথচ সকাল ৭ টায় তৃষ্ণার সাথে তার মামার কথা হয়, তার মামা বিজিবিতে কর্মরত। তৃষ্ণা তার মামাকে কল করে অনুরোধ করে যতো দ্রুত সম্ভব তৃষ্ণাকে পটুয়াখালী থেকে ট্রান্সফার করে অন্য কোথাও পাঠানোর জন্য। কারণ তৃষ্ণা এখানে নিরাপদ বোধ করছে না।মামার কল রাখার দেড় ঘন্টা পরেই তৃষ্ণার মাকে জানানো হয় তৃষ্ণার মৃত্যুর সংবাদ।

আজকে সারাদিন তৃষ্ণার পরিবার চেষ্টা করেও তার পোষ্টমর্টেম করাতে পারেনি, তৃষ্ণার লাশ তারা বুঝে পায়নি৷ বলা হচ্ছে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই অনুমতি না দিলে লাশ দেয়া যাবেনা। এসআইকে বারবার অনুরোধ করার পরেও এসআই বলছে উপরের আদেশ ছাড়া লাশ পোষ্ট মর্টেম বা হস্তান্তর করা যাবেনা। তৃষ্ণার পরিবার এখনো অপেক্ষায় লাশ বুঝে পাবার।

তৃষ্ণার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে তৃষ্ণার মানসিক সমস্যা ছিলো৷ কিন্তু তৃষ্ণার পরিবার জানায় তারা কোনদিন তৃষ্ণার মানসিক সমস্যা দেখেনি। কোনদিন তৃষ্ণাও কাউকে এমনটা বলেনি। সে মারা যাবার আগের রাতেও তার এক কাজিন যিনি নার্সিং এর সাথে যুক্ত তার সাথে দেড় ঘন্টা ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছে এবং জানিয়েছে সে পটুয়াখালীতে অনিরাপদবোধ করছে। সে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেছে।

কেউ কোনদিন তৃষ্ণার মধ্যে কোন রকম মানসিক অসামঞ্জস্য দেখেনি। অথচ তৃষ্ণার মৃত্যুর পরে পুলিশ দাবী করেছে তৃষ্ণার রুমে মানসিক রোগের চিকিৎসা নেবার প্রেস্ক্রিপশন পাওয়া গেছে। অথচ সারাদিন তৃষ্ণার পরিবার পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছে সেই প্রেসপক্রিপশন দেখার জন্য। পুলিশ কোন প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেনি।

পুলিশ তৃষ্ণা আত্মহত্যা করেছে বলে যেই ছবি দেখিয়েছে এই ছবি দেখে একমাত্র পাগল ছাড়া কেউ বলবে না যে এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে। তৃষ্ণার পরিবার মুখ খুলতে পারছে না৷ কারণ তৃষ্ণার একটা সাত বছর বয়সী ছোট ভাই আছে। ওর ছোট ভাইকেও যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে কে নিরাপত্তা দেবে? তৃষ্ণার পরিবার বোবা হতে বাধ্য হয়েছে।

তৃষ্ণার অপরাধ কি? তৃষ্ণা হিন্দু? তৃষ্ণার অপরাধ কি? তৃষ্ণা নারী?

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত