বর্তমানে সলো ট্রাভেলিং বা একক ভ্রমণ সব দেশের মানুষের আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে। অনেকে এখন একা ঘুরতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। জেন-জিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরও বেশি।
গত বছরের ডিসেম্বরে পর্যটকদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ভিসা প্রসেসিং প্ল্যাটফর্ম অ্যাটলেইস। প্রতিবেদনে তারা উল্লেখ করে, ২০২৪ সালে একক ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশই ছিলেন নারী। ২০২৫ সালে তা ৩৭ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আটটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দেশকে নারীদের একক ভ্রমণের জন্য নিরাপদ বলে উল্লেখ করা হয়।
দেশগুলো হলো যথাক্রমে:
১. স্পেন
২. সিঙ্গাপুর
৩. আয়ারল্যান্ড
৪. অস্ট্রিয়া
৫. সুইজারল্যান্ড
৬. নরওয়ে
৭. পর্তুগাল
৮. ক্রোয়েশিয়া
৯. কানাডা
১০. পোল্যান্ড
নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে প্রথমে আছে স্পেন। সূচকের সব ক্ষেত্রে দেশটি উতরে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ এশীয় দেশ সিঙ্গাপুর। এখানে ৯২ শতাংশ নারী রাতের বেলা একা হাঁটার সময় নিরাপদ বোধ করেন। দেশটি এই তালিকায় আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। আয়ারল্যান্ডে যৌন সহিংসতা এবং আইনি বৈষম্য, লৈঙ্গিক বৈষম্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতার মনোভাবের স্তর তুলনামূলকভাবে কম। তাই দেশটি আছে তৃতীয় অবস্থানে। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে অস্ট্রিয়া। দেশটিতে সবচেয়ে কম যৌন সহিংসতা এবং লৈঙ্গিক বৈষম্যের ঘটনা ঘটে।
সুইজারল্যান্ড আছে পঞ্চম অবস্থানে। রাস্তার নিরাপত্তা এবং নারীদের প্রতি ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ কম হয় দেশটিতে। তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নরওয়ে। দেশটি আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। নরওয়েতে নারীদের প্রতি ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড কম এবং রাতের বেলা একা হাঁটার সময় নারীরা নিরাপদ বোধ করেন। পর্তুগাল নারীদের একক ভ্রমণের জন্য সপ্তম নিরাপদ দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে। যৌন সহিংসতা এবং নারীদের প্রতি ইচ্ছাকৃত সহিংসতা কম হওয়ার ভিত্তিতে অষ্টম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। এর পরেই আছে কানাডা।
দেশটিতে নারীদের প্রতি ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড তুলনামূলক কম এবং সঙ্গী সম্পর্কের সহিংসতাও কম। দেশটি লৈঙ্গিক বৈষম্য সূচকে ভালো এবং নারীদের প্রতি সহিংসতার মনোভাবও কম। নারীদের প্রতি ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা কম হওয়ায় তালিকায় দশম নিরাপদ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে পোল্যান্ড।
সূত্র: এমএসএন, ফোর্বস
আরও খবর পড়ুন: